জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ছোটদের কাছে পুতুল সর্বক্ষণের সঙ্গী। ছেলে হোক বা মেয়ে সবাই ছোটবেলায় কমবেশি পুতুল খেলেছেন। বিশেষ করে মেয়েদের একটা পছন্দের খেলাই হল পুতুল খেলা। নানান আকার, নানান ধরনের পুতুলই ছিল শৈশবের পরম বন্ধু। তবে কিছু পুতুল ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে তাদের ভয়াবহতার জন্য। বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর পুতুল অ্যানাবেলার কথা নিশ্চয়ই জানেন। তবে আজ কথা হবে আরও ৩ টি অন্য পুতুলকে নিয়ে, যারা অ্যানাবেলার থেকেও ভয়ঙ্কর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Ajker Rashifal | Horoscope Today: স্ত্রীর সঙ্গে মতবিরোধ মকরের, সুনাম বৃদ্ধি কর্কটের, পড়ুন রাশিফল
এই ভয়ঙ্কর পুতুল গুলি এখনো রাখা আছে বিভিন্ন মিউজিয়ামে। জেনে নেওয়া যাক তালিকায় আছে কোন কোন পুতুল-


রবার্ট
১৯০০ সালে আমেরিকার ইটন স্ট্রিট এলাকায় থাকত 'ওটো' পরিবার। ওটো পরিবারের সবচেয়ে ছোট সদস্য ছিল ইউজিন রবার্ট ওটো। ইউজিনকে ভালোবেসে সবাই জিন বলে ডাকত। তাদের বাড়ির এক চাকর ইউজিনকে নিজের হাতে তৈরি করা একটি পুতুল উপহার দেন। পুতুলটি জিনের এতোই পছন্দ হয়েছিল যে, সে নিজের নামেই পুতুলের নাম রেখেছিল। জিন সেই পুতুলের নাম দিয়েছিল রবার্ট। জিনের সর্ব ক্ষণের সঙ্গী ছিল সে। পুতুলটির চেহারা একনজরে দেখে অদ্ভুত লাগলেও তার প্রতি জিনের ভালোবাসা দেখে বাড়ির কেউ এই বিষয়ে কিছু বলেননি। তবে হঠাৎ এক রাতে ওটো পরিবারের জীবনে অন্ধকার নেমে আসে। জিনের বয়স তখন ১০ বছর। গভীর রাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায় জিনের। ঘুম ভাঙতেই সে দেখে, রবার্ট তার বিছানার উপর বসে জিনের দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে রয়েছে। এই দৃশ্য দেখে জিন আঁতকে ওঠে। সে বলে স্পষ্ট মনে আছে, ঘুমানোর আগে রবার্টকে বিছানায় নয়, অন্য জায়গায় রেখেছিল সে। তা হলে সে বিছানায় এলো কী করে? ভয়ে চিৎকার করে ওঠে ছোট জিন। চিৎকার করার পরেই ঘরের ভেতর শুরু হয় তুলকালাম কাণ্ড। ঘরের আসবাবপত্রগুলো নিজে থেকেই এ দিক-ও দিক সরে যেতে থাকে। ঘরের দরজাও যায় বন্ধ হয়ে। সময় যত এগোতে থাকে, তারা বাড়িতে অন্য ব্যক্তির উপস্থিতি টের পেতে থাকেন। পাড়া-প্রতিবেশীরাও জানিয়েছিলেন, তারা নাকি মাঝেমধ্যেই দেখতে পেতেন বাড়ির উপরের তলার ঘরের জানালা থেকে রাস্তার দিকে অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে রবার্ট।


ম্যান্ডি
ম্যান্ডি নামের একটি চীনামাটির পুতুল পৃথিবীর সবচাইতে ভয়ংকর পুতুল গুলোর মধ্যে একটি। ধারণা করা হয়, ১৯১০ থেকে ১৯২০ সালের মধ্যে জার্মানি কিংবা ইংল্যান্ডে তৈরি করা হয়েছিল ম্যান্ডি নামের এই পুতুলটি। দীর্ঘদিন ধরে ম্যান্ডি সংরক্ষিত ছিল এক নারীর কাছে, যিনি দাবি করতেন, পুতুলটার কান্না শুনতে পেতেন তিনি। বাড়ির বেসমেন্টে থাকত পুতুলটা। সেখান থেকেই আসত কান্নার শব্দ। পরবর্তী সময়ে ম্যান্ডিকে ব্রিটিশ কলম্বিয়ার কুইনেল মিউজিয়ামে দান করে দেন সেই নারী। কিন্তু মিউজিয়ামেও নানা রকম ঘটনা ঘটায় ম্যান্ডি। নিয়মিতভাবে হারাতে শুরু করে অনেকের খাবার, অন্যান্য জিনিসপত্র। কোথা থেকে যেন ভেসে আসে পায়ের শব্দ! মিউজিয়ামের কর্মচারীরা দাবি করেন, অন্য পুতুলদের খোঁজখবরও নিত ম্যান্ডি। মিউজিয়ামের বিভিন্ন পুতুলের কাচের ঘরে নক করতে অনেকেই দেখেছে ম্যান্ডিকে। অনেকে বলেন, পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় চোখটা যেন জ্বলে ওঠে ম্যান্ডির।


আরও পড়ুন: Fist Personality Test: কীভাবে হাত মুঠো করেন? সামান্য এই অভ্যাসই চিনিয়ে দেবে চরিত্র...


পেগি
জেন হ্যারিস, একজন অতিপ্রাকৃতিক বিষয়ক তদন্তকারী, পেগি নামক এই ভৌতিক পুতুলটির ছবি এবং ভিডিও ধারণ করে তা ইন্টারনেটে ছেড়ে দেন। সবচাইতে অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে এই পুতুলটি অন্যান্য অভিশপ্ত পুতুলের মত নয়। অন্যান্য পুতুলগুলোর ক্ষেত্রে দেখা যায় যেই জায়গায় পুতুলটি আছে তার আশেপাশে ভৌতিক ঘটনা গুলো ঘটে থাকে। কিন্তু পেগির প্রভাব কারো ওপর পড়ার জন্য তার ছবি বা ভিডিওই যথেষ্ট। প্রথম পেগির ছবি ও ভিডিও বের হওয়ার পর পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৮০ জন মাথাব্যথা, অস্থিরতা এবং হ্যালুসিনেশন এর কথা বলেছেন। এমনকি একজন নারী পুতুলের ভিডিও দেখে হার্ট অ্যাটাক করেছিলেন বলে দাবি করা হয়।


 



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)