নিজস্ব প্রতিবেদন: আপনার এলাকায় কি এখনও কোনও টেলিফোন বুথ আছে? নেই তো! থাকবে কী করে, এখন তো সকলের হাতে হাতে মোবাইল ফোন বা স্মার্টফোন। ই-মেল, হোয়াটস্যাপের দৌলতে শতাব্দী প্রাচীন টেলিগ্রাম পরিষেবাও এখন ‘ইতিহাস’! লাল রঙের গোলাকার থামের মতো দেখতে চিঠি ফেলার বাক্সগুলিও এখন আর তেমন একটা চোখে পড়ে না। তাই প্রায় সাড়ে ৬ ফুট লম্বা আর আড়াই ফুট চওড়া কাচ আর কাঠে ঘেরা বাক্সগুলিও (টেলিফোন বুথ) এখন আর দেখা যায় না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শুধু ভারতেই নয়, মোবাইল বা স্মার্টফোনের যুগে এমন ৪৩টি ‘অকেজো’ টেলিফোন বুথ বাতিল করে দেয় ব্রিটিশ টেলিকমিউনিকেশন। তবে সৌভাগ্যবসত বাতিল বলে জঞ্জালে ফেলে দেওয়া হয়নি এই ‘অকেজো’ টেলিফোন বুথগুলিকে। কারণ, এগুলিকে বাঁচাতে উদ্যোগী হয় ‘ওয়ারলে কমিউনিটি অ্যাসোশিয়েশন’ নামের একটি সংস্থা। ২০০৮ সালে এই সংস্থার পথ চলা শুরু হয়। বিভিন্ন মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে স্থানীয় ঐতিহ্য বা বিশেষ নিদর্শনের (landmark) সংরক্ষণ করাই এই সংস্থার মূল উদ্দেশ্য। এই ‘ওয়ারলে কমিউনিটি অ্যাসোশিয়েশন’-এর উদ্যোগে ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ারে পশ্চিমে একটি টেলিফোন বুথকে সংগ্রহশালা (মিউজিয়াম) হিসেবে সাজিয়ে তোলা হয়।


আরও পড়ুন: আজও মেয়েকে কিন্ডারগার্টেন স্কুল থেকে আনতে যান ৮৪ বছরের বৃদ্ধা!


পশ্চিম ইয়র্কশায়ারে ‘দ্য মেপোল ইন’-এর সামনে রাখা নানারকম ঐতিহাসিক সামগ্রী দিয়ে সাজানো এই সংগ্রহশালাটি আয়তনে মাত্র ৩৬ বর্গফুট। সংস্থার একদল উৎসাহী সদস্যের আন্তরিক প্রচেষ্টায় প্রতি ৩ মাস পর পর সংগ্রহশালার সমস্ত সামগ্রী বদলে ফেলে ফের নতুন জিনিসপত্র দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয় এটি। এর চেয়ে ছোট সংগ্রহশালা দেখেছেন কোথাও!