নিজস্ব প্রতিবেদন: শিবরাত্রি পালন করেন নারীপুরুষ উভয়েই। একটা সাধারণ ধারণা প্রচলিত যে, শিবপুজোর উপর মেয়েদেরই একাধিপত্য। কথাটা ঠিক নয়। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে পড়ে গিয়েছে শিবচতুর্দশী তিথি। দিকে দিকে শুরুও হয়ে গিয়েছে প্রলয়ের দেবতা শিবের আরাধনা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শিবরাত্রির (shivaratri) ব্রত পালনের ক্ষেত্রে সাধারণত নির্জলা উপবাসই বিধেয়। তবে কেউ ততটা কষ্ট করতে না পারলে ডাবের জল বা ফলও খেতে পারেন বলে বলে থাকেন পুরোহিতেরা।


শিবপুজোর ব্রতে অবশ্য় উপচারের জটিলতা তেমন নেই। তবে একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে, শিবের নৈবেদ্য থেকে বেলফল যেন কোনও ভাবেই বাদ না যায়। কথিত, এই ফল শিবের অত্যন্ত প্রিয়। তাই তাঁর পুজোয় তাঁকে এই ফল অর্পণ করাই বিধি। পাশাপাশি এদিন ভক্তেরা ব্রতপালন-পর্বে বেলের সরবতও পান করতে পারেন, পুজোর পরে তা খেতে পারেন প্রসাদ হিসেবেও।


আরও পড়ুন: Madhubani, Tonushree থেকে Sayantika, দেখুন নায়িকাদের শিবরাত্রির পুজো


তিথি পড়লেই শিবের মাথায় জল ঢালা শুরু হয়ে যায় বটে। তবে 'শিবরাত্রি' শব্দের মধ্যেই লুকিয়ে আছে এই পুজোর বিধি। তা হল-- রাত জেগে প্রহরে-প্রহের পুজো। সাধারণত চার প্রহর। প্রথম প্রহর সন্ধে নাগাদ। এই প্রহরে শিবের নাম ঈশান। নির্দিষ্ট মন্ত্র পড়ে দুধ দিয়ে শিবের অভিষেক করার রীতি। দ্বিতীয় প্রহর শুরু রাত সাড়ে ৯টার পরে। এই প্রহরে শিবের নাম অঘোর। নির্দিষ্ট মন্ত্রে দই দিয়ে অভিষেক। তৃতীয় প্রহর শুরু রাত ১২টার পরে। শেষ রাত সাড়ে ৩টে নাগাদ। এই প্রহরে শিবের নাম বামদেব। এই প্রহরে ঘি দিয়ে অভিষেক। চতুর্থ প্রহর শুরু রাত ৩টে ৩২ মিনিটে, শেষ ভোর সাড়ে ৬টায়। এই প্রহরে শিবের নাম সদ্যোজাত। এই প্রহরে মধু দিয়ে অভিষেকের রীতি।
প্রত্যেক প্রহরেই দুধ, দই, ঘি এবং মধুর পরে গঙ্গাজলে (ganga) অভিষেক করে শিবকে অর্ঘ্য অর্থাৎ ফুল-বেলপাতা অর্পণ করতে হয়।


খুব নিষ্ঠাবান ভক্তেরা কষ্ট করে রাত জেগে প্রহরে প্রহরে সব বিধি মেনে আরাধনা করেন শিবের। এবং বাঞ্ছিত আশীর্বাদও লাভ করেন বলে কথিত। 


আরও পড়ুন: আগামী কাল শিবরাত্রি: জেনে নিন কখন লগ্ন; পুজোয় কী করবেন, কী করবেন না