ওয়েব ডেস্ক : আয়ুষ্মান খুরানার 'ভিকি ডোনর' মুক্তির পর ভুরু কুঁচকে গিয়েছিল সমাজ সচেতকদের। স্পার্ম ডোনেশন! এসব কী? এটা আবার কোনও ছবির বিষয় হল নাকি? নাক সিঁটকেছিলেন অনেকেই। কিন্তু, পর্দার সেই 'ভিকি'-র অনুপ্রেরণাতেই এবার বাস্তবে বন্ধ্যাত্ব মোকাবিলায় পথ দেখাচ্ছে 'ডোনেটর গার্লস'।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বন্ধ্যাত্বের কারণে যেসব দম্পতি সন্তানসুখ থেকে বঞ্চিত হন, তাঁদের জন্যই নিজের শুক্রাণু 'ডোনেট' করেছিলেন ভিকি। এবার ঠিক ভিকির মতই নিজেদের 'ডিম্বাণু ডোনেট' করছেন বহু যুবতী। বিভিন্ন ফার্টিলিটি ক্লিনিকে গিয়ে নিজেদের ডিম্বাণু ডোনেট করে আসছেন তাঁরা। বদলে এক-একবার ডোনেশনের জন্য পাচ্ছেন ২০,০০০ থেকে ৭০,০০০ টাকা। তবে টাকার অঙ্কই যে শুধু কারণ নয়, তা সাফ জানিয়েছেন ডোনেটর তরুণীরা। নিঃসন্তান দম্পতিদের সন্তানলাভে সাহায্য করাই যে তাঁদের মুখ্য উদ্দেশ্য সেকথা স্পষ্ট জানিয়েছেন তাঁরা।



ডোনেশন সাইটে নাম নথিভুক্ত করার পর নির্দিষ্ট ক্লিনিক থেকে যোগাযোগ করা হয় ডোনেটরের সঙ্গে। গাইনোকোলজিস্ট খতিয়ে দেখেন একজন ডোনেটরের বয়স, উচ্চতা, ব্লাড গ্রুপ ও পরিবারে কোনও অসুখবিসুখ আছে কিনা। ডিম্বাণু ডোনেশনের জন্য ওই যুবতী শারীরিকভাবে কতটা সক্ষম, নিয়মিত ভিত্তিতে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে তা দেখে নেওয়া হয়। একইসঙ্গে মনোবিদের সঙ্গে পরামর্শও চলতে থাকে। শরীর ও মন পুরোপুরি ডোনেশনের উপযুক্ত মনে হলে, ডাক্তার হরমোনাল ইনজেকশন দেন। যাতে বেশিসংখ্যায় ডিম্বাণু উত্পাদন হয়।


তবে অনেকসময় এই ইনজেকশনের ফলেই বমি, মাথাঘোরা, মাথা যন্ত্রণা, খিটখিটে ভাব বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। পাশাপাশি, ডিম্বাণু ডোনেশনের ক্ষেত্রেও 'গায়ের রংয়ের কারণে' টাকার অঙ্কে 'বৈষম্য' লক্ষ্য করা যায়। 'বিয়ের বাজারের' মত ডিম্বাণু ডোনেশনের ক্ষেত্রেও 'ডোনেটরের গায়ের রঙে'র উপর 'বাজারদর' ওঠানামা করে।


আরও পড়ুন, ১৬ বছরের কিশোরকে একবছর ধরে লাগাতার গণধর্ষণ ১৫ কিশোরের!