Demonetisation: নোটবন্দিতে দু্র্ভোগ দেশবাসীর; কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত খতিয়ে দেখবে সুপ্রিম কোর্ট
২০১৬ সালে দেশজুড়ে ৫০০ ও হাজার টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এই সিদ্ধান্ত কি আদৌ বৈধ? ৫৮টি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয় সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলার শুনানি হল পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ডেস্ক: ছয় বছর পার। নেহাতই তাত্ত্বিক বিষয় নাকি ব্যবহারিক কার্যকারিতাও রয়েছে? মোদী সরকারের নোটবন্দির সিদ্ধান্ত খতিয়ে দেখা হবে। জানাল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি এস এ নাজিরের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, 'যখন সংবিধানিক বেঞ্চে কোনও বিষয়ে প্রশ্ন তোলা হয়, তখন সেই প্রশ্নের উত্তর দেওয়াটা আদালতের কর্তব্য। সরকারের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার ক্ষেত্রে লক্ষণরেখা সম্পর্কে আদালত অবহিত'। ৯ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি।
দেশজুড়ে রাতারাতি বাতিল ৫০০ ও হাজার টাকার নোট! ২০১৬ সালে নোটবন্দির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছিল সাধারণ মানুষ। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছিল ব্যাঙ্ক ও এটিএমের সামনে। এমনকী, মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত কি আদৌ বৈধ? ৫৮টি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয় সুপ্রিম কোর্টে। সবকটি মামলাই সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠিয়ে দেয় শীর্ষ আদালতে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি টিএস ঠাকুরের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ।
আরও পড়ুন: Centre Subsidy: রান্নার গ্যাস দিতে গিয়ে বিপুল লোকসান, ৩ তেল কোম্পানিকে ২২,০০০ কোটি টাকা কেন্দ্রের
এদিন নোটবন্দি সংক্রান্ত মামলার শুনানি হল সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতি সাংবিধানিক বেঞ্চে। শুনানিতে কেন্দ্রের তরফে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, 'নোটবাতিল সংক্রান্ত আইন যদি আদালতে চ্যালেঞ্জ করা না হয়, তাহলে বিষয়টি তাত্ত্বিকই থাকবে'। পাল্টা সওয়াল করেন মামলাকারীদের আইনজীবীরাও। দু'পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পর দেশের শীর্ষ আদালত জানায়, 'উভয়পক্ষ সহমত নয়। সেক্ষেত্রে বিষয়টি তাত্ত্বিক বাকি ব্যবহারিক, তা নির্ধারণ করার জন্য নোটবন্দি সিদ্ধান্ত খতিয়ে দেখা প্রয়োজন'। কেন্দ্র ও রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে হলফনামার আকারে মতামত জানানোর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
১৯৭৮ সালে দেশে নোটবন্দি সংক্রান্ত আইনটি লাগু হয়। এই আইন অনুসারে, বেআইনি আর্থিক লেনদেন রুখতে প্রয়োজনে বেশি মূল্যের নোট বাতিল বলে ঘোষণা করতে পারে কেন্দ্র। দিল্লিতে ক্ষমতা আসার দু'বছরের মাথায় সেই পথেই হেঁটেছিল মোদী সরকার। নোটবন্দির সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত বছর যেদিন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূলের চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হন, সেদিন কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে কর্মিসভা করেন তিনি। সেই সভাতেও নোটবন্দি প্রসঙ্গ তুলে নিশানা করেন কেন্দ্রীয় সরকারকে। বলেন, 'মোদী করেছিল নোটবন্দি, আমি করেছি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার'।