নিজস্ব প্রতিনিধি : ১.৯৫ লাখ তোয়ালে। ৮১,৭৩৬ চাদর। ৫,০৩৮ বালিশ। ৫৫,৫৭৩ বালিশের কভার। ৭,০৪৩ কম্বল। গোটা বছরে এত পরিমাণ সম্পত্ত হারিয়েছে ভারতীয় রেল। এমনই তথ্য দিয়েছেন রেল কর্তারা। শুধু তাই নয়। চোরের হাত থেকে রেহাই পায়নি শৌচাগারের মগ, কল, ফ্লাশ পাইপ। গত তিন বছরে সব মিলিয়ে চার হাজার কোটি টাকার সম্পত্তিহানি হয়েছে রেলের। আর এবার  চোরের দাপটে নড়চড়ে বসেছে ভারতীয় রেল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  ৭ রোহিঙ্গাকে দেশের রাখার আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টের


চোর কে বা কারা? এখন এচাই সব থেকে বড় প্রশ্ন রেল কর্তৃপক্ষের কাছে। তবে তাদের জোরালো দাবি, রেল যাত্রার সময় সাধারণ যাত্রীরাই চাদর, বালিশ, তোয়ালে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে। কেউ গুণাক্ষরেও টের পাচ্ছে না। পরে ট্রেনে যাত্রীদের জন্য দেওয়া সামগ্রী গুণে দেখার সময় মিলছে না হিসাব। কিন্তু ততক্ষণে চোর পগারপার। ফলে সাধারণ যাত্রীর আড়ালে এই ধরণের চোরদের ধর-পাকড়ের কোনও সুযোগই থাকছে না রেল কর্তাদের কাছে।


আরও পড়ুন-  পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমল লিটারে ২.৫০ টাকা, ঘোষণা জেটলির


রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে অনেক ক্ষেত্রে বাথরুম থেকে শাওয়ার, জানলার গ্রিলও চুরি যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে কিছু কিছু জায়গায় এইসব সামগ্রী উদ্ধারে সক্ষম হচ্ছে রেল পুলিশ। তবে অনেক ক্ষেত্রেই রেলের সম্পত্তি উদ্ধার সম্ভব হয় না। ফলে গত তিন বছরে বড়সড় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে ভারতীয় রেলকে। রেলের এক উচ্চপদস্থ কর্তা বলছিলেন, চলতি বছর এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রায় ৮০ হাজার তোয়ালে ট্রেন থেকে চুরি গিয়েছে। প্রায় ২৮ হাজার চাদর ও ২২ হাজার বালিশও গায়েব। সব মিলিয়ে এই ক'মাসেই রেলের ক্ষতির অঙ্কটা ৬২ লাখ টাকা। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, কিছুদিন আগেই তিনটে কম্বল, ছটা চাদর ও তিনটে বালিশ চুরি করে ধরা পড়েন এক সাধারণ যাত্রী। ফাঁদ পেতেই তাঁকে ধরা হয়েছিল। বান্দ্রা থেকে সেই সাধারণ যাত্রী ট্রেনের এসি কোচে উঠেছিলেন। নামার সময় তিনি সেইসব জিনিসগুলো নিজের মনে করে ব্যাগে ভরে ফেলেন।