নিজস্ব প্রতিবেদন: কর্ণাটকে প্রসাদ খেয়ে মৃতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ১১। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৯০ জন। ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২ জনকে গ্রফতার করা হয়েছে। কী ভাবে ওই বিষক্রিয়া হল তা নিয়ে বিভিন্ন জল্পনা তৈরি হচ্ছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-রাফাল এলে চিনা J-20 জেটকে টেক্কা দিয়ে এশিয়ার সুপারপাওয়ার হয়ে উঠবে ভারত


প্রসাদের মধ্যে কি ছিল কীটনাশক? প্রসাদ খেয়ে ১১ জনের মৃত্যুর পর এমনটাই সন্দেহ করছেন তদন্তকারীরা। শুক্রবার কর্ণাটকের চামারাজনগরের কিচু মারান্দা মন্দিরে প্রসাদ হিসেবে টমোটো রাইস বিতরণ করা হয়। সেই প্রসাদ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন ভক্তরা। গতকালই পাঁচ জনের মৃত্যু হয়। মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে বাড়তে এখন ১১ দাঁড়িয়েছে। মৃতদের মধ্যে ২ শিশুও রয়েছে।



এদিকে ফেলে দেওয়া ওই প্রসাদ খেয়ে মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকটি গরুর। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ৫ জনকে খুঁজছে পুলিস। মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত ঠিকঠাক হচ্ছে কিনা তার দেখভাল করছেন রাজ্যের মন্ত্রী পুত্তরাঙ্গা শেট্টি। তিনি জানিয়েছেন ভক্তদের মধ্যে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাতের ফলেই ওই ঘটনা ঘটেছে। ফলে প্রসাদে বিষ মিশিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।


আরও পড়ুন-তিন বছরের শিশুকে নৃশংসভাবে খুন কাকিমার, ব্যাগে মিলল রক্তাক্ত দেহ


শেট্টি বলেন, ‘যারা ওই ঘটনায় জড়িয়ে থাকুক শাস্তি তারা পাবেই। পুলিস তদন্তে নেমেছে। ইতিমধ্যেই ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সমস্যা ছিল। ঘটনার পেছনে তারও ভূমিকা থাকতে পারে। রোগীরা এখনও বমি করছেন, কারও কারও ডায়রিয়া হয়েছে। কারও আবার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে।‘


হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে এখন অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। অনেককে ভেন্টিলেটরে রাখতে হয়েছে। ৪৭ জনকে বেঙ্গালুরুর কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, ১৭ জনকে রাখা হয়েছে মাইসুরুর জেজেএস হাসপাতালে। মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী রোগীদের দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। নিহতদের পরিবারপিছু ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণাও করেছেন।