ওয়েব ডেস্ক : "আমি জানি না, কেন শিক্ষিকা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন। আমি এখনও বুঝতে পারছি না, কেন ওনারা আমাকে এভাবে হেনস্থা করলেন? কেন আমার উপর এভাবে অত্যাচার করলেন? আমায় ক্ষমা কোর মা।" চিঠি যখন মা হাতে পেলেন, তখন সব শেষ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সৃষ্টি আদিরহস্য লুকিয়ে নারীর ঋতুচক্রে। সেই ঋতুস্রাবের রক্ত জামায়-বেঞ্চে লেগে যাওয়ায় স্কুলের 'দিদিভাইয়ের' কাছে বকুনি খেতে হয়েছিল ছোট্ট মেয়েটিকে। পেটে যন্ত্রণা। শরীর অসুস্থ বোধ করায় স্কুলের রেস্টরুমে গিয়ে বিশ্রাম নিতে চেয়েছিল সে। অভিযোগ, সেইসময়ই তাকে ভীষণভাবে বকাবকি করেন শিক্ষিকা। সেইসময় ক্লাসে ছাত্ররাও উপস্থিত ছিল। সেখানেই শেষ নয়। ওই কিশোরীকে নিয়ে প্রিন্সিপ্যালের ঘরেও যান অভিযুক্ত শিক্ষিকা। সেখানেও প্রিন্সিপ্যাল তার 'বেখেয়াল ও অসাবধানতা'র জন্য ওই কিশোরীকে বকাবকি করেন।


বন্ধুদের সামনে এতটা অপমান সহ্য করতে পারেনি সে। এরপরই বাড়ি ফিরে এসে অপমানে আত্মঘাতী হয় বছর বারোর ওই কিশোরী। সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রী তামিলনাড়ুর তিরুনেলভির বাসিন্দা। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, স্কুল থেকে ফেরার পরই মনমরা অবস্থায় ছিল ওই কিশোরী। এরপরই সে ২৫ ফিট উঁচু আবাসনের ছাদ থেকে ঝাঁপ দেয়।


যদিও স্কুলের তরফে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তবে সুইসাইড নোটে গোটা ঘটনাটি লিখে গেছে ওই ছাত্রী। চিঠিতে সে অভিযুক্ত শিক্ষিকার নামও উল্লেখ করেছে। মর্মান্তিক এই ঘটনায় উপযুক্ত তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন জেলাশাসক।


আরও পড়ুন, ২২ বছরের প্রেমিককে বিয়ের আর্জি নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ ৫৫ বছরের প্রেমিকা