নিজস্ব প্রতিবেদন— সকাল থেকেই রাস্তায় ভিড়। লোকজন জমিয়ে বাজার করছেন। কেউ কেউ আবার অকারণে রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। পুলিস দেখলেই ছুটে পালাচ্ছেন। এটাই এখন গোটা দেশের ছবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। লকডাউনের মেয়াদ বাড়ছে। কমছে মানুষের ধৈর্য। তৃতীয় দফার লকডাউন যেন মানুষ মানতে চাইছেন না। তবে মহামারী রুখতে আপাতত লকাডাউন ছাড়া আর কোনও রাস্তা নেই সরকারের হাতে। এমনিতেই গোটা দেশে সব থেকে বেশি করোনা আক্রান্ত রয়েছে মহারাষ্ট্রে। তাই মুম্বই সরকারের কড়া দাওয়াই ছাড়া উপায় নেই। ১৭ মে পর্যন্ত মুম্বইতে চলবে ১৪৪ ধারা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সন্ধ্যে সাতটা থেকে সকাল আটটা পর্যন্ত একমাত্র মেডিক্যাল কারণ ছাড়া কেউ বাড়ি থেকে বেরোতে পারবেন না। এমনই নির্দেশিকা জারি করেছে মুম্বই সরকার। একমাত্র মেডিক্যাল কারণ থাকলে এই সময় কেউ গাড়ি নিয়ে বেরোতে পারবেন। তবে তার জন্য অনুমতি নিতে হবে। ১লা মে থেকে তৃতীয় দফার লকডাউনের কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। মুম্বইয়ের অবস্থা উদ্বেগজনক। ৯,১২৩ জন সেখানে আক্রান্ত এখনও পর্যন্ত। সোমবার নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও আরও ১৫০ জন। ইতিমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ৩৬১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গিয়েছেন ১৮ জন।


আরও পড়ুন— "দরিদ্রদের হাতে নগদ টাকা দেওয়ার প্রয়োজন," রাহুলের সঙ্গে ভিডিও আলোচনায় বললেন অভিজিৎ


সোমবার থেকে মদের দোকান খোলার অনুমতি দিয়েছিল সরকার। ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত। কিন্তু দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করতে আর কোনও রাস্তা খোলা ছিল না বলে জানিয়েছিল সরকার। মদের দোকান নির্ধারিত সময়ের জন্য খোলার পর থেকেই মানুষের ভিড় জমে যায়। গায়ে গা ঠেকিয়ে মানুষ লাইনে দাঁড়ান। কয়েক গুণ বেড়ে যায় সংক্রমণের আশঙ্কা। এমনকী বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে হিমশিম খেয়ে যায় পুলিস। সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং—এর ধার ধারেননি ক্রেতারা। এর পর টুইট করে মুম্বই পুলিস জানিয়েছে, মদের কাউন্টারে ভিড় এড়াতে এবার স্ট্যান্ড অ্যালেন টোকেন দেওয়া হবে গ্রাহকদের। তার পরও সামাজিক দূরত্বের নিয়ম না মানা হলে এই পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হবে।