"দরিদ্রদের হাতে নগদ টাকা দেওয়ার প্রয়োজন," রাহুলের সঙ্গে ভিডিও আলোচনায় বললেন অভিজিৎ
"এই সময় মানুষের হাতে নগদ অর্থ পৌঁছে দেওয়া গেলে বাজারে চাহিদা বৃদ্ধি পাবে। তার ফলে বিক্রিবাটা ভাল হবে, অর্থনীতি কিছুটা হলেও চাঙ্গা হবে।"
নিজস্ব প্রতিবেদন : লকডাউনে দরিদ্রদের দুর্দশা কমাতে ভারতের আরও বেশি অঙ্কের আর্থিক প্যাকেজের প্রয়োজন। সোমবার ভিডিও আলোচনায় প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে এমনটাই বললেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। "দরিদ্র মানুষের হাতে টাকা পৌঁছে দেওয়া প্রয়োজন," আরও একবার বললেন অভিজিৎ।
ভারতে লকডাউন পরিস্থিতিতে ছোট ব্যবসা ও শিল্পগুলি চরম লোকসানের শিকার। তার ফলে জীবিকা হারানোর পথে বহু মানুষ। আলোচনায় বিষয়টি উল্লেখ করে অভিজিতের কাছে এ বিষয়ে সুরাহা জানতে চান রাহুল। "এই কারণেই লকডাউন পরিস্থিতিতে দরিদ্রদের জন্য আর্থিক প্যাকেজের কথা বলেছি আমি," জানালেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ।
অভিজিৎ বললেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিংবা জাপানের মতো দেশ এই ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জিডিপির প্রায় ১০% অঙ্কের আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। ভারতে তা মোটে ১%।
অভিজিৎ বলেন, "মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতের এই বিষয়ে শিক্ষা নেওয়া উচিত। এই সময় মানুষের হাতে নগদ অর্থ পৌঁছে দেওয়া গেলে বাজারে চাহিদা বৃদ্ধি পাবে। তার ফলে বিক্রিবাটা ভাল হবে, অর্থনীতি কিছুটা হলেও চাঙ্গা হবে।"
কিন্তু নগদ অর্থ কাদের হাতে দেওয়া উচিত? "আমি বলব ভারতীয়দের দরিদ্রতম ৬০ শতাংশের মধ্যে নগদ অর্থ ভাগ করে দিতে হবে। কাদের হাতে টাকাটা দেওয়া হচ্ছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ।"
লকডাউন কবে থেকে সম্পূর্ণ লঘু করা যাবে তাই নিয়ে এখনও সন্দিহান বিশেষজ্ঞরা। সন্দিহান অভিজিতও। তবে শুধুমাত্র অর্থনীতির স্বার্থে এখনই লকডাউন তোলা ঠিক হবে না বলে জানালেন তিনি। তিনি বললেন, 'লকডাউন তুলে দিয়ে মানুষকে অসুস্থ হতে দেওয়া যায় না। সংক্রমণের হার না কমলে সেটা করণীয় নয়।"
"দেশে খাদ্যাভাব নিয়ন্ত্রণ করতে প্রয়োজন টেম্পোরারি রেশন কার্ড," বললেন অভিজিৎ। তাঁর মতে, "এই কয়েক মাসের জন্য কেউ চাইলেই তাকে টেম্পোরারি রেশন কার্ড দেওয়া যেতে পারে।"
গত সপ্তাহে আরেক বিশ্বখ্যাত অর্থনীতিবিদ ও রিজার্ভ ব্যাংকের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজনের সঙ্গে ভিডিও আলোচনায় বসেছিলেন রাহুল গান্ধী। সেখানে লকডাউনের অর্থনৈতিক প্রভাব নিয়ে তাঁর সঙ্গে আলোচনা করেন রাহুল।