পাঁচ বছর পর বাড়ি ফিরে এল উত্তরাখণ্ডের বন্যায় হারিয়ে যাওয়া `ছোট্ট` মেয়ে
২০১৩ সালে চঞ্চলকে নিয়ে কেদারনাথ যাত্রায় বেরিয়েছিলেন তার মা-বাবা। চঞ্চল মানসিক ভারসাম্যহীন। সে সময় ভয়াবহ বন্যায় মেয়েটির চোখের সামনে ভেসে যায় তার বাবা-মা
নিজস্ব প্রতিবেদন: ২০১৩ সালের ভয়াবহ বন্যায় ধূলিসাত্ হয়ে গিয়েছিল উত্তরাখণ্ডের প্রত্যন্ত এলাকা। মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছিল পর্বতপ্রমাণ। প্রায় ৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। নিখোঁজ হন কয়েক হাজার মানুষ। এই সংখ্যার মধ্যে ছিলেন চঞ্চল নামে ১৭ বছর বয়সী কিশোরীর বাবা-মা-ও।
প্রকাণ্ড জলের স্রোতে ভেসে গিয়েছিল চঞ্চলের বাবা-মা। আর চঞ্চলেরও কোনও খোঁজ পায়নি তার পরিবার। কিন্তু সোমবার, প্রায় সবাইকে অবাক করেই ফিরে আসে সে। পাঁচ বছর পর আদুরে নাতনিকে পেয়ে আবেগে চোখের পাতা ভারী হয়ে যায় দাদু-দিদার। কীভাবে ফিরে এল ওই কিশোরী। সেটাই এখন আলিগড়ের বান্নাদেবী বাসিন্দাদের আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। দাদু হরিশচন্দ্র বলেন, এ তো মিরাক্যাল। নাতনিকে এভাবে ফিরে পাব স্বপ্নেও ভাবিনি।
আরও পড়ুন- ‘সাফল্যের কৃতিত্ব নিতে চাইলে ব্যর্থতার দায়ও নিতে হবে’, মোদী-শাহকে তোপ গড়করির
২০১৩ সালে চঞ্চলকে নিয়ে কেদারনাথ যাত্রায় বেরিয়েছিলেন তার মা-বাবা। চঞ্চল মানসিক ভারসাম্যহীন। সে সময় ভয়াবহ বন্যায় মেয়েটির চোখের সামনে ভেসে যায় তার বাবা-মা। বাকশক্তি না থাকায় চেঁচিয়ে ডাকতেও পারেনি চঞ্চল। এর পর অসহায় চঞ্চলকে আর্মির তত্পরতায় নিয়ে আসা হয় ত্রাণশিবিরে। সেখান থেকে জম্মুর একটি অনাথ আশ্রমে চলে আসে সে। উত্তরখণ্ডের দুর্ঘটনায় বাবার খোঁজ না মিললেও চঞ্চলের মা ঘরে ফিরে আসে। আর, চঞ্চলের মৃত্যু হয়েছে বলেই ধরে নিয়েছিল তার পরিবার।
অনাথ আশ্রমের আধিকারিকরা বলেন, বেশ কিছু দিন ধরে চঞ্চল কিছু বলার চেষ্টা করছিল। তার কথা অনুমান করে আলিগড়ের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাদের তত্পরতায় চঞ্চল ফিরে পায় তার পরিবারকে।