নিজস্ব প্রতিবেদন-  রেকর্ড বলছে জম্মু-কাশ্মীরে সংবিধানের ৩৭০ ধারা লোপের পর থেকে নাশকতার ঘটনা কমেছে ৫৪ শতাংশ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে যেদিন এমন দাবি করা হয়েছে সেদিনই তিনজন জঙ্গীকে খতম করল সিআরপিএফ ও পুলিশের যৌথ বাহিনী। তবে এদিনের অভিযানে একজন মহিলাও প্রাণ হারিয়েছেন। সেনার একজন ডেপুটি কমান্ডার গুরুতর আহত। জম্মু-কাশ্মীরের ডিজিপি দিলবাগ সিংহ জানিয়েছেন, এদিন ফিরদৌসাবাদে জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর পাওয়ার পরেই তল্লাশি অভিযানে নামে সিআরপিএফ ও পুলিসের যৌথ বাহিনী। রাত প্রায় দেড়টা নাগাদ এলাকা ঘিরে ফেলে বাহিনী। তারপর চিরুনি তল্লাশি শুরু হয়। তল্লাশির সময় জওয়ানদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে জঙ্গিরা। তারপরই পাল্টা জবাব দেয় বাহিনী। এই অভিযানে তিন জন জঙ্গিকে খতম করেছে পুলিশ ও সিআরপিএফ-এর যৌথ বাহিনী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন একজন সাধারণ মহিলা প্রাণ হারানোয় দুঃখপ্রকাশ করেছেন ডিজিপি। তবে তিনি এটাও বলেছেন, চলতি বছরে খুঁজে খুঁজে জঙ্গিদের খতম করা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত ৭৭ টি অপারেশন চালিয়েছে সিআরপিএফ, সেনা ও পুলিসের যৌথ বাহিনী। উপত্যকায় খতম করা হয়েছে মোট ১৭৭ জন জঙ্গিকে। এদের মধ্যে একাধিক পাকিস্তানি জঙ্গিও রয়েছে। ডিজিপি আরও জানিয়েছেন, গত কয়েক মাসে সাতটি অপারেশনে মোট ১৬ জন জঙ্গিকে খতম করেছে বাহিনী। আর তাঁদের মধ্যে জঙ্গি সংগঠনের নেতারাও রয়েছে। তবে গত কয়েক মাসে উপত্যকায় নেতা-মন্ত্রীরা টার্গেট হয়েছে জঙ্গিদের। পঞ্চায়েত প্রধান ও একাধিক বিজেপি নেতাদের খুন করেছে জঙ্গিরা। যা কি না উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু উপত্যকায় নাশকতার ঘটনা কমে গিয়েছে রেকর্ড হারে। যা কিনা বড়োসড়ো সুখবর বলে দাবি করছে পুলিশ ও সেনা।


আরও পড়ুন-  বিশ্বের এমন কোনও শক্তি নেই, লাদাখে টহলদারি থেকে রোখে সেনাকে! সংসদে রাজনাথের সাফ কথা


মঙ্গলবারই গুটিবাজ থেকে তিনজন যুবককে গ্রেফতার করেছে সেনা ও পুলিশের একটি যৌথ দল। ওই তিন যুবক পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিনের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে বলে জেরায় স্বীকার করেছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ওই এলাকায় নাশকতার ছক কষেছিল হিজবুল মুজাহিদিন। আর তারা এলাকার যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করত ওই তিন যুবকের মাধ্যমে। কাশ্মীরের এই তিন যুবককে গ্রেফতার করাও বড় সাফল্য বলে ধরছে পুলিস।