নিজস্ব প্রতিবেদন: গোয়ায় যত কাণ্ড মধ্যরাতে! বুধবার রাত দেড়টার সময় আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দিলেন জোট শরিক মহারাষ্ট্র গোমন্তক পার্টির ২ বিধায়ক। ওই দলের তিন বিধায়কের মধ্যে মনোহর আজগোয়াঙ্কর এবং দীপক পাওসকর বিজেপিতে যোগ দেন। গোয়া বিধানসভার অধ্যক্ষ মাইকেল লোবোর দাবি, রাত দেড়টা নাগাদ তাঁর অফিসে চিঠি নিয়ে পৌঁছন ওই দুই বিধায়ক। তাঁদের বিজেপিতে যোগদানের চিঠি গ্রহণ করা হয়েছে। যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে সাংবিধানিক নিয়ম মেনেই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পর্রীকরের মৃত্যুর পরই তড়িঘড়ি প্রমোদ সাওয়ান্তকে মুখ্যমন্ত্রী বানিয়ে মধ্যরাতেই শপথপাঠ করানো হয়। বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই বলে দাবি করে কংগ্রেস। রাজ্যপালের কাছে সরকার ভেঙে দেওয়ার আর্জিও জানানো হয় বারবার। ৪০টি আসনের গোয়ার বিধানসভায় এই মুহূর্তে মহারাষ্ট্র গোমন্তক পার্টির (এমজিপি) দুই বিধায়ককে যোগ করে বিজেপির হাতে রয়েছে ১৪ বিধায়ক। এমজিপির একটি, গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টির ৩ এবং নির্দলের ৩ বিধায়ক রয়েছে। অন্য দিকে বিরোধী জোটের হাতে রয়েছে কংগ্রেসের ১৪ ও ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি একটি বিধায়ক। অর্থাত্ আরও একটি বিধায়ক ভাঙাতে পারলে গোয়ায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হয়ে উঠবে বিজেপি। তাই এমজিপি-র এই দুই বিধায়ক বিজেপি যোগ দেওয়ায় ভোটের মুখে অমিত শাহদের জমি আরও পোক্ত হলেই বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।


আরও পড়ুন- লোকসভা ভোটে খেলা ঘোরাবেন একমাত্র নরেন্দ্র মোদীই, স্পষ্ট করে দিলেন অরুণ জেটলি


বিজেপিতে যোগদান করে বিধায়ক আজগোয়াঙ্করের মুখে মোদীর উচ্চ প্রশংসা শোনা যায়। তিনি বলেন, মোদীর নেতৃত্বে ফের সরকার তৈরি করছে বিজেপি। মানুষ মোদী মোদী করছেন। বিজেপির হাত ধরে গোয়ায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। দল ত্যাগ প্রসঙ্গে বিধায়কের মন্তব্য, বেশ কিছু দিন ধরে দলে নিরাপত্তাহীনতা ভুগছিলাম। লাভু মামলেদরের মতো বহুজন সমাজের নেতারাও এমজিপি থেকে বিতাড়িত হয়েছেন। আর বিধায়ক দীপক পাওসকর তো সাফ বলেই দেন, মন্ত্রীত্ব পাওয়ার আশায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছি।