জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিহারে গত ৪৮ ঘণ্টায় আটটি জেলায় বজ্রপাতের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে, সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী এই খবর জানা গিয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবারের মধ্যে বজ্রপাতের কারনে ঘটা মৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। রাজ্যের রাজধানিতেই এর মধ্যে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এর সঙ্গেই রাজ্যের রাজধানী থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে কৈমুর জেলা থেকে সাতটি মৃত্যুর খবর জানা গিয়েছে।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এছাড়াও পাটনা এবং ভোজপুরে চার জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। জেহানাবাদ, আরওয়াল, রোহতাস, ঔরঙ্গাবাদ এবং সিওয়ান এই প্রত্যেক জেলায় একজনের মৃত্যুর খবর এসেছে।


নীতীশ কুমার মৃতের আত্মীয়দের জন্য চার লক্ষ টাকার এক্স-গ্রাশিয়া ঘোষণা করেছেন। একটি সরকারী প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন করা হয়েছে সরকারের তরফে।


দেশের আবহাওয়া দফতরের (আইএমডি) পাটনা অফিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘন্টার মধ্যে রাজ্যের উত্তর-মধ্য, দক্ষিণ-মধ্য এবং দক্ষিণ-পূর্ব অংশে কয়েকটি জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে।


আইএমডি ৩০ জুলাই পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। আবহাওয়া দফতরের আধিকারিক কামিনী কুমারী বলেন, ‘এই সপ্তাহে (রাজ্যের) বেশিরভাগ জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। ৩০ জুলাই পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে বজ্রবিদ্যুৎ এবং ঝড় সহ ব্যাপক বৃষ্টিপাত হতে পারে’।


আরও পড়ুন: Rajasthan: অতি ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে ডুবে মৃত্যু ৪ শিশুর, বাতিল ট্রেন...


এই বছর বজ্রপাতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা হয়েছে ১২১। বিহারে বজ্রপাতে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর খবর রেকর্ড করা হয়েছে। ভারতের দ্বিতীয় বার্ষিক লাইটনিং রিপোর্ট অনুসারে, বিহারে ১ এপ্রিল, ২০২০ থেকে ৩১ মার্চ, ২০২১-এর মধ্যে বজ্রপাতের কারণে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ৪০১ জনে মৃত্যু হয়েছে এখানে। এরপরেই রয়েছে উত্তর প্রদেশ। সেখানে মৃত্যু হয়েছে ২৩৮ জনের। মধ্যপ্রদেশে মৃত্যু হয়েছে  ২২৮ জনের। ওড়িশায় মৃত্যু হয়েছে ১৫৬ জনের এবং ঝাড়খণ্ডে ১৩২ জন।


রিপর্টে বলা হয়েছে অন্যান্য রাজ্যে একই সময়ের মধ্যে ১০০ জনেরও কম মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বজ্রপাতের কারনে মৃত্যুর ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় ২৪ জুলাই সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সব সরকারি অফিসে বজ্রপাত এড়ানর যন্ত্র বসানোর কথা জানিয়েছেন তিনি। স্কুল, পঞ্চায়েত ভবন, হাসপাতাল সহ সব সরকারি বাড়িতেই এই ব্যবস্থা বসানোর দাবি জানিয়েছেন তিনি।