নিজস্ব প্রতিবেদন— মূলত জঙ্গলের রোগ। তবে এবার হানা দিল সংরক্ষিত বনভূমিতেও। বেবেসিওসিস। মারাত্মক এই রোগে বছরের একটি বিশেষ সময় জঙ্গলে প্রচুর সংখ্যক প্রাণী মারা যায়। এবার এই রোগ হানা দিল গির অরণ্যে। লকডাউনের মাঝেইঘটল মর্মান্তিক ঘটনা। বেবেসিওসিসে আক্রান্ত হয়ে গির অরণ্যের ২৩টি সিংহ মারা গেল। একসঙ্গে এতগুলি এশিয়াটিক লায়ন মারা যাওয়ায় বনকর্মীরাও হতাশ। যদিও গির অরণ্য সংরক্ষণের দায়িত্বে থাকা কর্তারা বলছেন, বেবেসিওসিসের জন্য প্রাণ হারিয়ে ১৮টি সিংহ। বাকি পাঁচটি সিংহের মৃত্যুর কারণ অন্যা। কোনওটি লড়াই করতে গিয়ে মারা পড়েছে। কোনওটি আবার বয়সজনিত রোগে। তবে ১৮টি সিংহের রোগাক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বছর দুয়েক আগে গির অরণ্যে হানা দিয়েছিল বেবেসিওসিস। সেবারও এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিল ২৪টি সিং। সেবার অনেক কষ্টে বিপর্যয় মোকাবিলা করেছিল বন দফতর। এবারও পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক। জানা গিয়েছে, বেবেসিওসিসে আক্রান্ত আরও ১৮টু সিংহকে পশু হাসপাতা্লে ভর্তি করা হয়েছে। এক ধরমের পোকা এই রোগের জীবাণু বহন করে। সেই পোকার মাধ্যমে পশুদের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে বেবেসিওসিস। বন দফতর জানিয়েছে, সঠিক সময় চিকিত্সা হলে এই রোগে আক্রান্ত পশুদের সারিয়ে তোলা সম্ভব।


আরও পড়ুন— শরীর একটাই, মাথা দুটো! বিরল সাপ দেখে অবাক বনকর্মীরাই


গবাদি পশু থেকে শুরু করে পোষা কুকুর, বন্যপ্রাণী, বেবেসিওসিসে আক্রান্ত হতে পারে যে কেউ। এই রোগে পশুদের শরীরের খাদ্যরস শুকিয়ে যায়। কমতে থাকে লোহিত রক্তকণিকা নষ্ট হতে থাকে। ফলে ঝিমিয়ে পড়তে শুরু করে রোগাক্রান্ত প্রাণী। মৃত ১৮টি সিংহের ময়নাতদন্ত হবে বলে জানিয়ে কর্তৃপক্ষ। রিপোর্ট পাঠানো হবে রাজ্য সরকারের কাছে।