তাসের নেশা সর্বনাশা! একসঙ্গে করোনা আক্রান্ত ২৪ জন
অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়া শহরে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ২৪ জন। লকডাউনের এই সময় তাঁরা তাস খেলতে বসেছিলেন একসঙ্গে। দর্শকও ছিল।
নিজস্ব প্রতিবেদন— সারা দেশে চলছে লকডাউন ২.০। করোনা সংক্রমণ দেশে ব্যাপক আকার নিতে পারে, এই আশঙ্কায় জনতা কার্ফুর পরে লকডাউনের ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বারবার সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ দিয়ে আসছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কিন্তু তাতে কী যায় আসে! হাতে অগাধ সময়। সেই অগাধ সময় কাটছে না। অনেকেই বুঝতে পারছেন না, লকডাউনের এই সময়টা উত্সব, আনন্দ করে কাটানোর জন্য নয়। বরং এটা সঙ্কটের সময়। এই সময়ে সরকারি নির্দেশ মেনে চললে নিজের ও অন্যেরও ভাল। কিন্তু কোথায় সেসব ভাবনা! কিছু মানুষ জমায়েত করে তাস খেলছেন, আড্ডা দিচ্ছেন। বাড়ছে সংক্রমণ। সরকার ও অন্য মানুষের এত চেষ্টা বিফলে যাচ্ছে।
তেলেঙ্গানার এক মহিলা একাই ৩১ জনকে আক্রান্ত করেছিলেন। লকডাউনের সময় তিনি পাড়ার বাড়ি বাড়ি গিয়ে লুডো খেলতেন। তাঁর শরীরে করোনার জীবাণু ছিল। আর লুডো খেলার চোটে তাঁর থেকে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৩১ জন। তবে সেই কাণ্ড থেকে শিক্ষা নেয়নি অনেকেই। অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়া শহরে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ২৪ জন। লকডাউনের এই সময় তাঁরা তাস খেলতে বসেছিলেন একসঙ্গে। দর্শকও ছিল। ব্যস, আর শেষ রক্ষে হল না। কৃষ্ণা জেলার জেলাশাসক মহম্মদ ইমতিয়াজ এই ২৪ জনের একসঙ্গে আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, সামাজিক দূরত্ব না মেনে মেলামেশার জন্য একজন ট্রাক ড্রাইভারের থেকে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ২৪ জন।
আরও পড়ুন— লকডাউন উপেক্ষা করেই সেলুনে গিয়ে চুল-দাড়ি কাটিয়েছিলেন, করোনা আক্রান্ত ৬ জন
তাঁর কথা অনুযায়ী, কৃষ্ণা এলাকায় বন্ধু ও প্রতিবেশীদের নিয়ে সময় কাটানোর জন্য তাস খেলেছিল ওই ট্রাক ড্রাইভার। সেখান থেকেই আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ জন। এছাড়া গ্রামের মহিলারা সময় কাটানোর জন্য তাম্বোলা খেলছেন। সেখান থেকেও করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ইমতিয়াজ আরও জানিয়েছেন, এর আগেও কারমিকা নগরে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। সেখানেও সামাজিক দূরত্ব না মেনে মেলামেশা করার জন্য প্রায় ১৫ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। প্রত্যেক ব্লকের সংশ্লিষ্ট আধিকারিককে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ দিয়ে চিঠি দিয়েছে জেলাশাসক দফতর। ইতিমধ্যেই শুধুমাত্র বিজয়ওয়াড়াতেই করোনা আক্রান্ত ১০০ জন। সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখলে এই সংখ্যাটা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাবে। এমনটাই আশঙ্কা চিকিৎসক মহলের।