নিজস্ব প্রতিবেদন: কোন পথে চলছে সরকার? তা জানার অধিকার রয়েছে জনগণের। ২০০৫ সালে ‘মোক্ষম ক্ষমতাও’ দেওয়া হয়েছে জনগণকে। কিন্তু প্রশ্ন তা কি শুধু খাতায় কলমে? সম্প্রতি দ্য কনভার্সনের প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, তথ্য অধিকার আইনের কমপক্ষে ২৬ হাজার আবেদন ধামা চাপা পড়ে রয়েছে ফাইলের মধ্যে। তার কোনও সদুত্তর পায়নি জনগণ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- নাগেশ্বর রাওয়ের মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি


২০০৫ সালে ইউপিএ সরকারের আমলে তথ্য অধিকার আইন পাস হয়। প্রধান বিচারপতি থেকে নিজের গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধানের কাজ সম্পর্কে যে কোনও তথ্য জানার অধিকার রয়েছে আম-আদমি-র। তাঁদের প্রশ্নের জবাব দিতে বাধ্য তথ্য কমিশন। এমনকি, কোনও দফতর যদি তথ্য দিতে অপারগ হয়, তা হলে বরখাস্ত বা জরিমানার মতো শাস্তির মুখে পড়তে পারে ওই দফতরের কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শাস্তি তো দূর, অনেক ক্ষেত্রে তথ্য প্রকাশ্যে অস্বীকার করার অভিযোগ উঠেছে খোদ সরকারের বিরুদ্ধে।


আরও পড়ুন- রাফালের বিতর্কের পরও ফ্রান্স থেকে ৩ হাজার ক্ষেপণাস্ত্র কেনার পরিকল্পনা মোদী সরকারের


প্রায় ২৬ হাজার আবেদন ঝুলে রয়েছে তথ্য কমিশনের কাছে। নোটবন্দির পর থেকে তথ্য অধিকার আইনের আবেদনের হিড়িক আরও বাড়ে। নোট বাতিল বিষয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে তথ্যের অধিকার আইনে জানতে চাওয়া হলে, তা জানাতে অস্বীকার করে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। এমনকি কেন্দ্রের ৩৬টি রাফাল কেনার বিষয়ে আরটিআই হলে, তা জানাতে অস্বীকার করে সেনাও। যদিও রাফাল চুক্তি নিয়ে একাধিক দুর্নীতি প্রকাশ্যে নিয়ে আনে বিরোধীরা।


উল্লেখ্য, তথ্যে অধিকার আইনের পরিবর্তন আনার চেষ্টা বারংবার করেছে ক্ষমতাসীন সরকার। মন্ত্রী-আধিকারিকদের ‘ফাইল নোটিং’ ২০০৬ সালে এই আইনের বাইরে রাখার প্রস্তাব করে কেন্দ্র। তেমনই ২০১৩ সালে রাজনৈতিক দলগুলিকে তথ্যের অধিকার আইনের আওতার বাইরে রাখার প্রস্তাব করা হয়।