২জি কেলেঙ্কারি মামালায় বেকসুর খালাস কানিমোঝি, এ রাজা-সহ সব অভিযুক্ত
প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম জানিয়েছেন, `টু-জি কেলাঙ্কারি নিয়ে ইউপিএ সরকারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা ভিত্তিহীন, এই রায়েই তা প্রমাণিত হল।`
নিজস্ব প্রতিবেদন: টু-জি কাণ্ডে কানিমোঝি, এ রাজা-সহ সমস্ত অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করল সিবিআই-এর বিশেষ আদালত। বুধবার মোট ৩টি মামলার রায় ঘোষণা করেন সিবিআইএর আদালতের বিচারক। সেখানে ১৭ জন অভিযুক্তের প্রত্যেককেই বেকসুর খালাস করেছেন তিনি।
২০১১ সাল থেকে চলা টু-জি মামলায় অবশেষে ১৭ জনকেই নির্দোষ ঘোষণা করল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। বিচারক জানিয়েছেন, সিবিআই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দোষ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। যার ফলে ১ লক্ষ ৭৬ হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারির অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস পেলেন ডিএমকে সুপ্রিমো করুণানিধির মেয়ে কানিমোঝি।
স্বাধীনোত্তর ভারতের সব সব থেকে বড় দুর্নীতিতে অভিযুক্তরা নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ার পর কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কপিল সিবাল বলেন, "এটা আমাদের নৈতিক জয়। দেশবাসীর কাছে বিজেপির ক্ষমা চাওয়া উচিত। আমরা এই বিষয়টি সংসদে তুলব।"
দলের নেত্রী বেকসুর খালাস পাওয়ায় ডিএমকে নেতা স্তালিন প্রতিক্রিয়ায় সংবাদসংস্থা এএনআই-কে বলেন, "ডিএমকে-কে ভাঙার ছক বানচাল হল।" টু-জি দুর্নীতি কাণ্ডে ছাড়া পাওয়ার পর ডিএমকে নেত্রী কানিমোঝি বিরোধীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছেন।
প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম জানিয়েছেন, "ইউপিএ সরকারের বিরুদ্ধে ২জি কেলেঙ্কারির অভিযোগ ভিত্তিহীন, এই রায়েই তা প্রমাণিত হল।"
উল্লেখ্য, সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের এই রায়ের পর সাবেক ইউপিএ সরকারের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিরোধীরা যে প্রশ্ন তুলেছিল তা থেকে নিস্তার পেল কংগ্রেস। স্বস্তি ফিরল করুণানিধি'র দল ডিএমকেতেও। টু-জি কাণ্ডে রায় ঘোষণার পরই কোর্ট চত্বরের বাইরে আনন্দে মেতে ওঠেন ডিএমকে সমর্থকরা।