নিজস্ব প্রতিবেদন: শক্তি প্রদর্শন করতে গিয়ে সঙ্কট আরও বাড়ল কর্ণাটকের জোট সরকারের। কর্ণাটকে জেডিএস-কংগ্রেস জোটের বিধায়ক ভাঙিয়ে সরকার গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। মুখে সে সব উড়িয়ে দিলেও এদিন বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বৈঠকেই ঘটে গেল বিপত্তি। বৈঠকে এলেনই না ৪ বিধায়ক। নোটিস পাঠিয়ে তাঁদের অনুপস্থিতির কারণ জানতে চেয়েছে কংগ্রেস। বিধায়কদের জবাব আসার পরই এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান সিদ্দারামাইয়া।    


চার বিধায়ক গরহাজির। আর ঝুঁকি নেওয়া চলে না। বৈঠকের পর বিধায়কদের বাসে বসিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় এগলটন রিসর্টে। যদিও কংগ্রেস বিধায়ক সৌম্যা রেড্ডি বলেন,''আমরা একসঙ্গে কাজ করব। ইগলটন রিসর্টে যাচ্ছি। সম্ভবত একদিন থাকব। এটাই শক্তিপ্রদর্শন। আসন্ন ভোট নিয়ে আলোচনা হবে''।                              




আরও একবার বিজেপির বিরুদ্ধে সরকার ভাঙার অভিযোগ করেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। তাঁর দাবি, আমাদের সরকারে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছে অমিত শাহ, নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় নেতারা। তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস বিধায়কদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ৫০ থেকে ৭০ কোটি টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে বিজেপি। তাঁর কাছে প্রমাণ আছে বলেও দাবি কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। সিদ্দার কটাক্ষ, চৌকিদারের কাছে এত টাকা এল কোথা থেকে? 



ইতিমধ্যে কর্ণাটকের জোট সরকার থেকে সমর্থন তুলে নিয়েছেন ২ নির্দল বিধায়ক। ডিকে শিবকুমার দাবি করেছিলেন, ৫ কংগ্রেস বিধায়ক নিখোঁজ। মুম্বইয়ের একটি হোটেলে তাঁদের আটকে বিজেপি কথাবার্তা চালিয়ে যাচ্ছে। কর্ণাটকের রাজনৈতিক অলিন্দে গুঞ্জন, কংগ্রেস এবং জেডিএসের ১৩ জন বিধায়কের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ রাখছে বিজেপি। বলে রাখি, কর্ণাটকের সরকার গড়তে দরকার ১১৩ বিধায়কের সমর্থন।  


আরও পড়ুন- জলের দরে বাইক আনল Hero, দেখে নিন গাড়ির বৈশিষ্ট্য