নিজস্ব প্রতিবেদন : রেল সুরক্ষা নিয়ে সরকারের যাবতীয় তত্পরতার মধ্যেই লাফিয়ে বাড়ছে দুর্ঘটনার সংখ্যা। ১২ ঘণ্টার কম সময়ে দেশজুড়ে ৪টি ট্রেন দুর্ঘটনায় ফের চিন্তায় রেলকর্তারা। দুর্ঘটনাগুলিতে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৭ জনের, আহত ১১। এই পরিস্থিতিতে আবারও প্রশ্নের মুখে রেলে যাত্রী সুরক্ষা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শুক্রবার ভোর ৪.১৮ মিনিটে উত্তরপ্রদেশের চিত্রকূট জেলার বান্দা স্টেশনের কাছে লাইনচ্যুত হয় ভাস্কো দা গামা - পটনা এক্সপ্রেসের ১৩টি বগি। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। আহত ৮। এর কিছু পরই ওড়িশার কটকে লাইনচ্যুত হয় একটি মালগাড়ি। যদিও এর ফলে হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। যখন এই দুটি দুর্ঘটনার কারণ খুঁজতে ব্যস্ত রেলমন্ত্রক, ঠিক তখনই উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরে জম্মু-পটনা অর্চনা এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন ট্রেন থেকে খুলে যায়। চলন্ত ট্রেনে এমন ঘটনায় ঝাঁকুনি অনুভব করেন যাত্রীরা। এই ঘটনায় অল্পবিস্তর আহত হয়েছেন ৩ জন। চতুর্থ ঘটনাটিও ঘটে উত্তরপ্রদেশেই। রাজ্যের আমেঠির একটি লেভেল ক্রসিংয়ে যাত্রীবোঝাই বোলেরো গাড়িতে ধাক্কা মারে একটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৪ জনের।


আরও পড়ুন- কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ন্যূনতম বেতন বাড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই : অর্থমন্ত্রক


প্রাথমিক তদন্তে প্রথম তিনটি দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে উঠে এসেছে রেললাইনের রক্ষণাবেক্ষণের অভাবের তত্ত্ব। সেই সঙ্গে আবহাওয়ার দোহাইও দেওয়া হয়েছে কিছু ক্ষেত্রে।   


রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল নির্দেশ দিয়েছেন, ৫০ বছর বা তার বেশি পুরনো রেললাইন অবিলম্বে মেরামতি করতে হবে। লাইন মেরামতির সময় প্রয়োজনে ট্রেন ধীর গতিতে চালানো হবে সেই অংশে। রেলকর্মীদের একাংশের অভিযোগ, মেরামতির কাজ চলার সময় মাঝেমধ্যেই কোনও বিশেষ ট্রেন আগে ছেড়ে দিতে 'উপরমহল' থেকে অনুরোধ আসে। যার ফলে থমকে যায় মেরামতির কাজ। বিষয়টি ইতিমধ্যেই রেলমন্ত্রীর কানে পৌঁছেছে। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, যাত্রী সুরক্ষা বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে সবার আগে। তাই এই ধরনের কোনও অনুরোধ এলে তা কড়া হাতে মোকাবিলা করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।


রেলমন্ত্রকের পক্ষে রাজ্যসভায় পেশ করা তথ্যে জানা গিয়েছে, চলতি বছরে দেশে ২১টি রেল দুর্ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে ১০টি দুর্ঘটনা ঘটেছে ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ফলে। মৃত্যু হয়েছে মোট ৪৭ জনের। তথ্যে আরও বলা হয়েছে ২০০৭-০৮ থেকে ২০১৭-১৮-র ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত ভারতে মোট ১৪০৫টি রেল দুর্ঘটনার মধ্যে ৭১৮টি ঘটেছে ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ায়। মৃত্যু হয়েছে মোট ৫০৫ জনের। আর অধিকাংশ দুর্ঘটনার পিছনেই রেল লাইনের খারাপ অবস্থাকে দায়ী করেছেন তদন্তকারীরা।