নিজস্ব প্রতিবেদন:  একের পর এক ধর্ষক বাবার উদয়। গুরমিত রাম রহিম সিংয়ের পর এবার বাবা বীরেন্দ্র দেব দীক্ষিত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: মোবাইল ফোন নিয়ে বচসা, সহপাঠীকে ‘খুন’ অষ্টম শ্রেণির ছাত্রের


অভিযোগ আসছিল দীর্ঘদিন ধরেই। দিল্লির রোহিণীতে আধ্যাত্মিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নাবালিকা ও মহিলাদের আটকে রেখে যৌন শোষণ করছেন স্বঘোষিত বাবা বীরেন্দ্র দেব দীক্ষিত। আশ্রমের ওই মেয়েদের তাঁদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হত না। সূর্যের আলো ঢোকে না এমন একটি ঘরে তাঁদের আটকে রাখা হত বলে অভিযোগ।  ছিল না মেয়েদের স্নানের কোনও গোপনীয়তাও। বীরেন্দ্র দীক্ষিত এই সব মেয়ের অভিভাবকদের বুঝিয়ে আশ্রমে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করতেন। স্ট্যাম্প পেপারে লিখিয়েও নিতেন। জানা গিয়েছে, ১৬ হাজার মহিলার প্রতি আসক্তি ছিল ওই ‘বাবা’র।


আরও পড়ুন: বিরিয়ানিতে বিষ! একই পরিবারের ৭ সদস্যের রহস্যমৃত্যু


আশ্রমের আবাসিকদের অভিভাবরা অভিযোগ জানিয়ে মামলা করেন দিল্লি হাইকোর্টে। কয়েকজন আইনজীবী ও দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়ালকে নিয়ে একটি প্যানেল গঠন করে বিষয়টি তদন্ত করতে বলে আদালত। তার পরেই অভিযান। উদ্ধার করা হয় ৪১জন নাবালিকাকে। খতম বাবার সব জারিজুরি। গত মঙ্গলবার ওই আশ্রমে প্রথম অভিযান চালায় দিল্লি পুলিসের একটি দল। আশ্রমের বিভিন্ন জায়গায় ওষুধ ও ইনজেকশনের সিরিঞ্জ পড়ে থাকতে দেখেন তদন্তকারীরা।



চৌঠা জানুয়ারির মধ্যে বাবা বীরেন্দ্র দেব দীক্ষিতকে আদালতে হাজির করাতে সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ধর্ষক বাবা।