নিজস্ব প্রতিবেদন: চূড়ান্ত খসড়া, তবে চূড়ান্ত তালিকা নয় - এই বার্তা দিয়েই অসমে নাগরিক পঞ্জিকরণে ২ কোটি ৯০ লক্ষের নাম প্রকাশিত করল ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেনস। বাদ পড়ল ৪০ লক্ষের কাছাকাছি নাগরিকের নাম। এই বিপুল সংখ্যক মানুষ কি নাগরিকত্ব পাবেন, এ নিয়ে জল্পনা তৈরি হলেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে স্পষ্ট জানানো হয় ফের আবেদনের সুযোগ পাবেন তাঁরা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রাজনাথ সিং সোমবার বলেন, “সবাইকে জানানো হচ্ছে, এই তালিকা একটি খসড়া মাত্র। এটি চূড়ান্ত তালিকা নয়। যাঁদের এই খসড়ায় নাম নেই, পরে ফের আবেদন এবং অভিযোগ জানানোর সুযোগ পাবেন তাঁরা। তারপরই বের করা হবে চূড়ান্ত তালিকা।” উদ্বেগের কোনও কারণ নেই বলে আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- রবিবার রাতে ৩ ঘণ্টা বন্ধ থাকছে উত্তর রেলের টিকিট বুকিং


সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, গৃহীত ৩.২৯ কোটি আবেদনকারীর মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে প্রায় ২.৯০ কোটি নাম। রাজ্যের এনআরসি-র আধিকারিক প্রতীক হাজেলা জানিয়েছেন, চূড়ান্ত খসড়া থেকে বাদ পড়েছেন ৪০ লক্ষ আবেদনকারী। তবে, এত সংখ্যক আবদেনকারীর ভবিষ্যত কতটা সুরক্ষিত, সে বিষয়ে চাপা উত্তেজনা রয়েছে অসমে। মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল অসমের মানুষের উদ্দেশে জানিয়েছেন, প্রথম খসড়া প্রকাশের সময় শান্তিপূর্ণভাবে মানুষ ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিয়েছিলেন, এবারও আশা করা হচ্ছে সেই পরিস্থিতি বজায় রাখবেন।


আরও পড়ুন- পটনার হাসপাতাল পরিণত হয়েছে পুকুরে, খেলে বেড়াচ্ছে মাছ


উল্লেখ্য, ২০১৫ সাল থেকে শুরু হয় নাগরিক পঞ্জিকরণে ব্যবস্থা। অসমের ৬৮.২৭ লক্ষ পরিবারের ৬.৫ কোটি মানুষ আবেদন করেন। গত বছর ৩১ ডিসেম্বর প্রথম খসড়া প্রকাশ করেছিল এনসিআর। প্রথম খসড়ায় ২ কোটি নাগরিকের নাম প্রকাশ করা হয়। এ দিন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কড়া নিরাপত্তায় ঢেকে দেওয়া হয়েছে গোটা অসমকে। জানা যাচ্ছে, ২২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী নিযুক্ত করা হয়েছে। সতর্ক করা হয়েছে রাজ্য পুলিসকেও। এ দিন সরকারি ছুটিও ঘোষণা করা হয় রাজ্যজুড়ে।



প্রসঙ্গত, অসম পাবলিক ওয়ার্কাসের দায়ের করা বৈধ নাগরিকত্বের মামালায় সুপ্রিম কোর্টে নির্দেশে গোটা প্রক্রিয়াটা পরিচালনা করছে এনসিআর। ১৯৭১ সালে ২৪ মার্চের মধ্যরাতের আগে বসবাসকারী অসমের নাগরিকদের নাম নথিভুক্ত থাকবে। চূড়ান্ত খসড়ায় যাঁদের নাম ওঠেনি, তাঁর আবেদন বা অভিযোগ জানাতে পারবেন ৩০ অগস্ট থেকে ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। তিন ধরনের ফর্ম পূরণ করে জমা দিতে হবে এনআরসি দফতরে। অনলাইনেও এই ফর্ম পাওয়া যাবে বলে জানা যাচ্ছে। ১ নম্বর ফর্মের মাধ্যমে নতুন করে আবেদন জানাতে পারবেন নাগরিকরা। সংশোধনীর ক্ষেত্রে দ্বিতীয় ফর্ম প্রযোজ্য। কোনও অভিযোগ জানাতে গেলে তিন নম্বর ফর্ম পূরণ করে তা জমা দিতে স্থানীয় এনআরসি অফিসে।


আরও পড়ুন- করুণানিধির শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক, হাসপাতালের বাইরে ভিড় অনুগামীদের