১৮ ঘণ্টার লড়াই শেষ, খতম পুলওয়ামা হামলার মূলচক্রী কামরান-সহ ৩ জঙ্গি, শহিদ ৫
মাসুদ আজহারের নির্দেশে ৯ই ডিসেম্বর কাশ্মীরে ঢোকে জইশ কমান্ডার আবদুল রশিদ গাজি ওরফে কামরান। কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিজের দুই ভাইপোর মৃত্যুর বদলা নিতে তাকে কাশ্মীরে পাঠায় মাসুদ
নিজস্ব প্রতিবেদন: পুলওয়ামায় ১৮ ঘণ্টা পর শেষ সেনা- জঙ্গির গুলির লড়াই। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামা জঙ্গি হামলার মূলচক্রী কামরান-সহ ৩ জঙ্গিকে নিকেশ করেছে সিআরপিএফ, সেনা ও পুলিসের যৌথ বাহিনী। সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষে এক মেজর ও তিন জওয়ান সহ মোট পাঁচজন শহিদ হন। যার মধ্যে একজন স্থানীয় বাসিন্দাও রয়েছেন বলে সংবাদ সংস্থার খবর।
আরও পড়ুন- শান্তি আলোচনার সময় পেরিয়ে গিয়েছে, এবার পদক্ষেপ, বার্তা নরেন্দ্র মোদীর
মাঝরাত থেকেই সেনার কাছে খবর আসে পুলওয়ামার পিংলান গ্রামে লুকিয়ে রয়েছে দুই থেকে তিন জইশ জঙ্গি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সিআরপিএফ এবং পুলিসের সঙ্গে গ্রামে অভিযানে যায় সেনা। জঙ্গিদের অবস্থান চিহ্নিত করে ঘিরে ফেলে যৌথ বাহিনী। রাতভর চলে গুলির লড়াই। চার দিনের মাথায় এল সাফল্য। নিহত হয় পুলওয়ামার সিআরপিএফ কনভয়ে হামলার মূল দুই পাণ্ডা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জরুরি বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জৈশ জঙ্গি কামরান ও গাজির মৃত্যুসংবাদ পৌছে দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। এই কামরানই অবন্তীপোরায় সেনা কনভয়ে আইইডি হামলার মূল চক্রী। নিহত মাসুদ ঘনিষ্ঠ আরও এক জঙ্গি জাহিদ রশিদ। এমনটাই নিশ্চিত করেছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিস। রবিবার ভোররাত থেকে শুরু হয়ে সোমবারও দিনভর চলে গুলিযুদ্ধ।
মাসুদ আজহারের নির্দেশে ৯ই ডিসেম্বর কাশ্মীরে ঢোকে জইশ কমান্ডার আবদুল রশিদ গাজি ওরফে কামরান। কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিজের দুই ভাইপোর মৃত্যুর বদলা নিতে তাকে কাশ্মীরে পাঠায় মাসুদ। কনভয়ে হামলার ২দিন আগে নিরাপত্তারক্ষীদের হাত থেকে কামরান বেঁচে যায়, সংঘর্ষে নিহত হন ১ সেনাকর্মী। সেনা কনভয়ে হামলা চালিয়ে আত্মঘাতী জঙ্গি আদিল আহমেদ দারকে প্রশিক্ষণ দেয় কামরান। পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে জইশ ও আইএসআইয়ের শিবিরে কামরান প্রশিক্ষণ দিত। জইশ প্রধান মাসুদ আজাহারের ঘনিষ্ঠ পাক নাগরিক মধ্য তিরিশের কামরান এক দশক আগে জইশে যোগ দেয়। কামরান আফগান যুদ্ধে অংশ নেয়, তালিবান শিবিরে প্রশিক্ষণ পেয়ে আইইডি বিশেষজ্ঞ হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন- পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলা: পাকিস্তানকে টমেটো বিক্রি বয়কট করল মধ্যপ্রদেশের চাষিরা
এদিনের অভিযানে আহত হন পুলিস এবং যৌথ বাহিনীর নানা স্তরের অফিসার-জওয়ান। শহিদ হন মেজর বিভূতি শঙ্কর ধৌণ্ডিয়াল, হাবিলদার শিউ রাম, সিপাহি অজয় কুমার এবং হরি সিং। অভিযান চলাকালীন বাহিনীর কাজে বারবার বাধা দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের ঘটনাস্থল থেকে সরাতে চলে মাইকিং। জঙ্গিরা যে বাড়িতে লুকিয়ে ছিল সেই বাড়ির মালিক অভিযানে নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।