দাবাং নাকি সিম্বা! বিকাশ দুবের মতো আরও এক কুখ্যাত দুষ্কৃতীকে খতম করল যোগীর পুলিস
মাথার দাম ছিল ৫০ হাজার টাকা।
নিজস্ব প্রতিবেদন- দাবাং নাকি সিম্বা! এনকাউন্টার স্পেশালিস্ট হিসাবে উত্তরপ্রদেশের পুলিসের এমনিতেই নামডাক ছিল। এবার নিজেদের নামের সঙ্গে সুবিচার করে চলেছে যোগী রাজ্যের পুলিস। হিস্ট্রি শিটার বিকাশ দুবেকে নিকেশ করেছে এসটিএফ ও পুলিসের যৌথবাহিনি। আটজন পুলিসকর্মী খুনের অপরাধী বিকাশকে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনী থেকে গ্রেফতার করেছিল পুলিস। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তার এনকাউন্টার করা হয়। পুলিসের বক্তব্য, পালানোর চেষ্টা করেছিল বিকাশ দুবে। পুলিসের উপর ফায়ারিং করে সে। প্রথমে তাকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। কিন্তু বিকাশ কথা শোনেনি। এর পরই পুলিস তাকে এনকাউন্টার করে। একইদিনে আরও এক কুখ্যাত অপরাধীকে নিকেশ করেছে উত্তরপ্রদেশের পুলিস।
গত আট দিনে ছটি এনকাউন্টার করেছে যোগীর পুলিস। আর তাতেই বিকাশ দুবের কুখ্যাত গ্যাং শেষ। এদিন আবার গোরখপুরের কুখ্যাত অপরাধী পান্না যাদবকে এনকাউন্টারে নিকেশ করেছে পুলিস ও এসটিএফ। পান্না যাদবের উপর খুন, লুঠপাট, খুনের চেষ্টা, অপহরণসহ একাধিক অভিযোগ ছিল। তার মাথায় দাম ছিল ৫০ হাজার টাকা। উত্তরপ্রদেসের পুলিস অনেকদিন ধরেই পান্নাকে পাকরাও করার ছক কষেছিল। কিন্তু বারবার পুলিসের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল সে। হরদি থানার গরকারা গ্রামে পান্না যাদবের লুকিয়ে থাকার খবর পেয়েছিল পুলিস। এর পরই তাকে গ্রেফতার করতে যায় বিশাল পুলিসবাহিনী। কিন্তু গ্রামে ঢোকার মুখেই পুলিসের উপর ফায়ারিং শুরু করে দেয় পান্না।
আরও পড়ুন- সম্পর্কের তিক্ততা বাড়ছে! এবার নেপালে বন্ধ ভারতীয় চ্যানেলের সম্প্রচার
এসটিএফ-এর জওয়ানরা পান্নাকে ঘিরে ফেলে। তার পর পাল্টা ফায়ারিং-এ আহত হয় পান্না। তার পর তাকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ক্ষত গভীর হওয়ায় তাকে জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই মারা যায় পান্না। গত কয়েকদিন ধরে যেন অপরাধদমনে অতি সক্রিয় হয়ে উঠেছে উত্তরপ্রদেশের পুলিস। গোরখপুর, মহারাজগঞ্জ, বারাবকি, লখিমপুর, আজমগড়সহ বহু এলাকায় পান্না যাদব ত্রাস ছিল। এই কুখ্যাত দুষ্কৃতির ভয়ে কাঁটা হয়ে থাকতেন সাধারণ মানুষ।