ওয়েব ডেস্ক : পর পর দুটি ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন গুরমিত রাম রহিম সিং। ডেরা সচ্চা সওদা প্রধানের ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা আরও এক ‘বাবজিকে’। সোমবার রাতে দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয় ‘ইচ্ছেধারী বাবাকে’। তাঁর বিরুদ্ধে মধুচক্র চালানোর অভিযোগ থেকে শুরু করে জালিয়াতি এবং প্রতারণার অভিযোগও রয়েছে। কিন্তু, গোটা দেশের এমন অনেক গডম্যান আছেন, যাঁদের নিয়ে বিতর্কের কোনও খামতি নেই। আজ সেরকমই ৬ স্বঘোষিত ধর্মগুরুর কথা আমরা জানাব আপনাদের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১> আশারাম বাপু : আহমেদাবাদের সবরমতী আশ্রমের পাশেই আশারাম বাপুর আশ্রম। ২০১২ সালে দিল্লি গণধর্ষণ মামলায় বিতর্কিত মন্তব্য করেন আশারাম। বলেন, ধর্ষণকে তোল্লাই না দিয়ে ধর্ষকদের বরঞ্চ ক্ষমা করে দেওয়া হোক। শুধু তাই নয়, ধর্ষকদের ‘ভাই’ বলেও ডাকা হোক বলেও দাবি করেন তিনি।


২০০৮ সালের ৪ জুলাই আশারামের আশ্রম থেকে ২ যুবক নিখোঁজ হয়ে যান। এরপর ৫ জুলাই ওই ২ যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় নদীর পাশ থেকে। ‘কালো জাদু’ করেই ওই ২ যুবককে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে আশারামের বিরুদ্ধে। এরপর গুজরাটের বিভিন্ন শহর জুড়ে প্রতিবাদ শুরু হয়।


২> সত্য সাই বাবা : ভারতের যত বিতর্কিত ধর্মগুরু রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন সত্য সাই বাবা।


৩> স্বামী নিত্যানন্দ : যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে স্বামী নিত্যানন্দের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, স্বামী নিত্যানন্দের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকজন মহিলা সরাসরি যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগও করেছেন।


৪> পিয়ারা সিং ভানিয়েরওয়ালা : পিয়ারা সিং ভানিয়েরওয়ালা নামে আরও এক গডম্যানকে নিয়েও রয়েছে বিতর্ক। গুরু গ্রন্থ সাহিব নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন পিয়ারা সিং।


৫> নারায়ণ সাই : আশারাম বাপুর ছেলে নারায়ণ সাইকে নিয়েও বেশ বিতর্ক রয়েছে। নারায়ণ সাই-এর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ রয়েছে। নারায়ণ সাই-এর সঙ্গে ৮ জন মহিলা যৌন হেনস্থার অভিযোগ রয়েছে বলে খবর। ইতিমধ্যেই নারায়ণ সাই-এর ৫ হাজার কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।


৬> সন্ত রামপাল : সন্ত রামপাল-এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র এবং অবৈধভাবে আটক করে রাখার মত ধারাতেও পৃথক পৃথকভাবে মামলা দায়ের করা হয়েছে।