অসুস্থ বাবা শুয়ে, স্ট্রেচার ঠেলছে ছোট্ট ছেলে! সরকারি হাসপাতালের অবস্থা এক ছবিতে পরিষ্কার
স্ট্রেচার ঠেলার জন্য ওয়ার্ড বয়দের আলাদা করে ৩০ টাকা দিতে হয়। সেই টাকা হাতে না পেলে স্ট্রেচার ছুঁয়েও দেখবে না ওয়ার্ড বয়-রা।
নিজস্ব প্রতিবেদন- স্ট্রেচার ঠেলছে ছোট্ট ছেলে। অনেক কষ্টে অসুস্থ বাবাকে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে সে। এমনই এক ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এই এক ছবিতেই উত্তরপ্রদেশের সরকারি হাসপাতালের ছবি পরিষ্কার। হাসপাতালের রোগীর আত্মীয়দের বহুদিনের অভিযোগ, স্ট্রেচার ঠেলার জন্য ওয়ার্ড বয়দের আলাদা করে ৩০ টাকা দিতে হয়। সেই টাকা হাতে না পেলে স্ট্রেচার ছুঁয়েও দেখবে না ওয়ার্ড বয়-রা। বাহরাজের গাওরা গ্রামের অতি দরিদ্র ছেদি যাদবের পরিবারের লোকজন সেই ৩০ টাকা ওয়ার্ড বয়কে দিতে পারেনি। তাই ছেদি যাদবকে স্ট্রেচারে শুইয়ে ঠেলে নিয়ে যেতে হয় তাঁর ছেলে শিবমকে।
উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়া হাসপাতালের ঘটনা। ছেদি যাদবের ওয়ার্ড বয়কে ৩০ টাকা দেওয়ার সামর্থ ছিল না। তাই ওয়ার্ড বয় তাঁর স্ট্রেচার ঠেলেনি। বাধ্য হয়ে ছেদি যাদবের মেয়ে বিন্দু আহত বাবাকে স্ট্রেচারে শুইয়ে দেয়। এর পর ছোট্ট ছেলে শিবম সেই স্ট্রেচার ঠেলে নিয়ে যায়। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ রাজ্যের স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থায় উন্নয়নের দাবি করেন। কিন্তু সরকারি হাসপাতালের এই ছবি তাঁর দাবি নস্যাত্ করেছে। তবে এই ভিডিয়ো দেখার পর জেলাশাসক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন- খনিতে কাজ করছিলেন শ্রমিক, এমন জিনিস পেলেন জীবন বদলে গেল রাতারাতি
দেওরিয়ার জেলাশাসক অমিত কিশোর দেওরিয়া হাসপাতালে যান। তিনি ছেদি যাদব ও তাঁর বাড়ির লোকের সঙ্গে দেখা করে ঘটনার কথা জেনে নেন। বিন্দু জানিয়েছেন, প্রথমে ওয়ার্ড বয় তাঁদের কাছে ৩০ টাকা চায়। কিন্তু সেই টাকা তাদের কাছে ছিল না। ফলে ওয়ারড বয় তাঁদের আর পাত্তা দেয়নি। বাধ্য হয়ে নিজেরাই আহত বাবাকে নিয়ে স্ট্রেচার ঠেলে নিয়ে যান।