নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভা ভোটের আগে তাঁর সরকার কৃষক দরদী বলে প্রচার চালাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী। রবিবার বানসাগর জলসেচ প্রকল্পের উদ্বোধনের পর  প্রধানমন্ত্রী ফের মনে করিয়ে দেন, ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করতে বদ্ধপরিকর তাঁর সরকার। প্রধানমন্ত্রী যখন এমন দাবি করছেন, ঠিক তখনই বিজেপি শাসিত মহারাষ্ট্রে কৃষকদের দুর্দশার ছবিটা আরও প্রকট হয়ে পড়ল। ৩ মাসে আত্মহত্যা করেছেন  সে রাজ্যের ৬৩৯ জন কৃষক। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, আদৌ কতটা কৃষক দরদি মোদী সরকার? উল্লেখ্য, আগামিকাল অর্থাত্ সোমবার মেদিনীপুরে কৃষক কল্যাণ সমাবেশে যোগ দিতে আসছেন মোদী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মহারাষ্ট্র সরকার দাবি করেছে, ১ মার্চ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ৬৩৯ জন কৃষক আত্মহত্যার ঘটনা নথিভূক্ত হয়েছে। তবে তদন্তের পর দেখা গিয়েছে, ১২২টি ঘটনার ক্ষেত্রে কৃষি সংক্রান্ত বিষয় নেই। তাঁরা ক্ষতিপূরণ পাবেন না। ৩২৯টি ঘটনায় তদন্তপ্রক্রিয়া শেষ হয়নি। মাত্র ১৭৪ জনকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। বিরোধী দলনেতা ধনঞ্জয় মুন্ডে ও এনসিপি নেতাদের প্রশ্নে মহারাষ্ট্রের ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী চন্দ্রকান্ত পাটিল জানান, ৬৩৯টি আত্মহত্যার ঘটনার মধ্যে ১৮৮ জনের পরিবার ক্ষতিপূরণ পাওয়ার যোগ্য। শস্য নষ্ট, ঋণের বোঝা ও ঋণ শোধে ব্যর্থতার দায়ে আত্মহত্যা করলেই তবে মেলে ক্ষতিপূরণ। জেলাস্তরের কমিটি ক্ষতিপূরণের মাপকাটি নির্ধারণ করে। চন্দ্রকান্ত পাটিল লিখিত জবাবে জানান, যবতমলের বোথবোদান গ্রামে আত্মহত্যা করেছেন ২৩ জন কৃষক। 


মহারাষ্ট্রের সমবায় মন্ত্রী সুভাষ দেশমুখ শুক্রবার জানিয়েছিলেন, আধার কার্ড না থাকায় রাজ্যের ২ লক্ষ ৪০ হাজার কৃষকের ঋণ মকুব সম্ভব হয়নি। এব্যাপারে ভাবনাচিন্তা করছে সরকার। 


এদিন বানসাগর জলসেচ প্রকল্পের উদ্বোধনী মঞ্চ থেকে ফের প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দেন, ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ হবে। বিরোধীদের নিশানা করে মোদী বলেন, ''কৃষকদের নিয়ে যারা কুম্ভীরাশ্রু ফেলে রাজনীতি করছেন, ধানের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাড়ানোর ফাইল যখন পড়ে ছিল, তখন নীরব ছিলেন। কৃষকদের ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করেছে বিরোধীরা। ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি রাখব আমি।''     


আরও পড়ুন- পরিবর্তন দেখতে অমর্ত্যকে দেশে সময় কাটানোর পরামর্শ নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যানের