নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভায় সাসপেন্ড হলেন কংগ্রেসের ৭ সাংসদ। অসংসদীয় আচরণের অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। সোমবার শুরু হয়েছে বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব। শেষ হবে ৩ এপ্রিল। ততদিন সভায় থাকতে পারবেন না সাসপেন্ডেড ৭ কংগ্রেস সাংসদ। স্পিকারের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী। তাঁর অভিযোগ, একনায়কতন্ত্র চলছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দিল্লি হিংসা নিয়ে গত তিন দিন ধরে উত্তাল সংসদ। সভা পণ্ড করার অভিযোগে কংগ্রেসের ৭ সাংসদকে অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করেন ভারপ্রাপ্ত  স্পিকার মীনাক্ষি লেখি। সাসপেন্ড হলেন- গৌরব গগৈ, টি এন প্রথাপন, ডিন কুরিয়াকোজে, বেনি বেহান্নম মনিক্কম ঠাকুর, রাজমোহন উন্নিথন ও গুরজিত্‍ সিং অওজলা।


বাজেট অধিবেশনে আর থাকতে পারবেন না সাসপেন্ডেড কংগ্রেস সাংসদরা। স্বাভাবিকভাবেই  এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ কংগ্রেস। অধীর চৌধুরীর কথায়,''এটা স্পিকারের নয়, সরকারের একার সিদ্ধান্ত। কী ধরনের একনায়কতন্ত্র চলছে? কংগ্রেসকে দুর্বল করার চেষ্টা তলছে। দিল্লি হিংসা নিয়ে সংসদে আলোচনায় ভয় পাচ্ছে সরকার।''    



গৌরব গগৈ টুইট করেন,''সাসপেন্ড করুন আমাকে। কিন্তু আগামিকাল দিল্লির হিংসা নিয়ে আলোচনা করুন। যাঁরা আপনাকে ভোট দিয়েছেন, তাঁদের প্রতি দায়বদ্ধতা রয়েছে আপনাদের। কংগ্রেসের সংখ্যা কম হলেও ভারতমাতা আমাদের শক্তি দেয়। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে বিচার চেয়ে যাব।''     



স্পিকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বিজেপি। সংসদ বিষয়কমন্ত্রী  প্রহ্লাদ জোশী বলেন,''স্পিকারের টেবিল থেকে কাগজ ছিনিয়ে পদকে অসম্মান করা হয়েছে।'' কংগ্রেসের সাংসদদের আচরণ নিয়ে স্পিকারের কাছে কমিটি গঠন করার দাবি করেছেন জোশী। তবে তাতেও দমছে না কংগ্রেস। মীনাক্ষি লেখির এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে স্পিকার ওম বিড়লার কাছে দরবার করছে রাহুল গান্ধীর দল। 


আরও পড়ুন- কর্ণাটক হতে চলেছে মধ্যপ্রদেশ? ক্ষমতায় ফিরছেন শিবরাজ চৌহান?