নিশানায় সাংবাদিকতা, ১৬ মাসে দেশে খুন ৭ সাংবাদিক
ওয়েব ডেস্ক: বন্দুকের নলে বারবার ঝাঁঝরা হচ্ছেন সাংবাদিকরা। খবর করার 'অপরাধে' অগ্নিদগ্ধও হতে হচ্ছে। নাহ্, ফতোয়া সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত মধ্যপ্রাচ্যের কোনও দেশ নয়, বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রেই আজ বিপন্ন তার চতুর্থ স্তম্ভ। ১৬ মাসে ভারতে ৭ সাংবাদিক খুন। পুলিসের খাতায় ২৫টি হুমকির ঘটনা নথিভুক্ত। এই সময়কালে সাংবাদিক নির্যাতনের ৫৪টি ঘটনা। এমনই তথ্য তুলে ধরছে সংবাদমাধ্যম বিষয়ক ওয়েবসাইট হুট। যদিও একটা অংশের দাবি, বাস্তবে এর চেয়ে অনেক বেশি আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। ২০১৬ সালে ৬ জন সাংবাদিক খুনের ঘটনায় পুলিস মাত্র ৩টি ক্ষেত্রে পেশার জন্য খুন বলে রিপোর্ট দিয়েছে। ২০১৬ সালে আরও ১৭টি হুমকি এবং ২০১৭ সালের প্রথম ৩-৪ মাসের মধ্যে আরও ২টি হুমকি আসে সাংবাদিকের ওপর। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, সব চেয়ে বেশি হুমকি এসেছে ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্ট বা অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের ওপর।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক উল্লেখযোগ্য সাংবাদিক হত্যা-
১৪ মে ২০১৬। বিহারের সিওয়ান স্টেশনের কাছে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত হিন্দি পত্রিকা "হিন্দুস্তান' এর চিফ অফ ব্যুরো রাজদেব রঞ্জন। রাজদেবের মাথায় ৫ রাউন্ড গুলি করে দুর্বৃত্তরা।
১৩ মে ২০১৬। ঝাড়খণ্ডের চাতরায় নিহত তাজা টিভির রিপোর্টার অখিলেশ প্রতাপ সিং। অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ।
অক্টোবর ২০১৫। উত্তরপ্রদেশের ধীনাতে খুন টেলিভিশন সাংবাদিক হেমন্ত যাদব। বাইকে চড়ে এসে হেমন্তকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা।
জুন ২০১৫। অবৈধ ম্যাঙ্গানিজ খনি নিয়ে খবর করে খুন সন্দীপ কোঠারি। শ্বাসরোধ করে খুনের পর সন্দীপের গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয় মাফিয়ারা।
জুন ২০১৫। উত্তরপ্রদেশের সাংবাদিক যোগেন্দ্র সিংকে পুড়িয়ে খুন। অগ্নিদগ্ধ হওয়ার এক সপ্তাহ পর হাসপাতালে মারা যান যোগেন্দ্র।