নিজস্ব প্রতিবেদন: মিজোরামে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৭৫ শতাংশ। ভোট নিয়ে টানটান উত্তেজনা দেখা গেল মিজোরামে। এখানে মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্টের সঙ্গে জোট করেছে বিজেপি। ৪০ আসনের মিজোরাম বিধানসভায় ভোটের ময়দানে রয়েছেন ২০৯ জন প্রার্থী। এবার ৩৯টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। যদিও আজ পর্যন্ত এই রাজ্যে কোনও আসন জিততে পারেনি তারা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এই নির্বাচন লোকসভা নির্বাচনের আগে কার্যত সেমি-ফাইনাল। মোদী বা রাহুল। পাঁচ রাজ্যের ভোটে ভাল ফল মানেই ফাইনালের আগে মানসিকভাবে এগিয়ে যাওয়া। তবে মিজোরামের নির্বাচনে জাতীয় ইস্যুর সঙ্গে বিভিন্ন স্থানীয় বিষয়ও জুড়ে গিয়েছে। দু’বারের মুখ্যমন্ত্রী লালথানহাওলার কাছে প্রতিষ্ঠানবিরোধী হাওয়া সামাল দেওয়াই বড় চ্যালেঞ্জ। তবে, প্রাক্তন প্রদেশ সহ-সভাপতি লালজিরলিয়ানা-সহ একাধিক নেতা এমএনএফে যোগদান করায় চিন্তা বাড়ছে কংগ্রেসের।



আরও পড়ুন- মায়া-মমতায় সমস্যা নেই, কংগ্রেসকে তাড়ান, ডাক মোদীর


ত্রিপুরায় চলে যাওয়া রিয়াং শরণার্থীদের জন্য উন্নয়ন পর্ষদ এখনও বকেয়া। এর সঙ্গে রয়েছে পরিকাঠামোর অভাব, অনুপ্রবেশ সমস্যা, ক্রমশ বেড়ে চলা বেকারত্বের হার। মদের নেশা অপরাধের সংখ্যা বাড়াচ্ছে বলে অভিযোগ। সংখ্যায় বেশি হলেও রাজনীতিতে মহিলাদের অনুপস্থিতি। এসবই এবার ভোটের ইস্যু। মিজোরামে জিতে উত্তর-পূর্বের সবকটি রাজ্যে দলের বিজয়পতাকা ওড়াতে চাইছে বিজেপি।



আরও পড়ুন- ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার আগে মধ্যপ্রদেশে ইভিএম বিভ্রাটে সরব কংগ্রেস


ভোট দিন। সবাই ভোট দিন। ভোটের সকালে মিজোরামের বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে ট্যুইট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।  উত্তর-পূর্বে কংগ্রেসের শেষ দূর্গ ভাঙতে মরিয়া বিজেপি। ট্রেন্ড বলে, মিজোরামে দশ বছর অন্তর অন্তর নাকি সরকার পাল্টায়। গেরুয়া শিবির আশাবাদী কংগ্রেসের লাল থানহাওলার সরকারের এবারেই ইতি। তা যদি হয় অমিত শাহের কংগ্রেস মুক্ত উত্তর-পূর্ব গড়ার স্বপ্ন সফল হবে। ৪০ আসনে ভোট মিজোরামে। ভোটের পর  MNF-এর সঙ্গ মিলবে। আশাবাদী বিজেপি।