নিজস্ব প্রতিবেদন: পঞ্জাবের বিষমদ কাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮৬। সঙ্গে সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের পদত্যাগের দাবি করে শাসক দলের অন্যান্য নেতা-মন্ত্রীদের একহাত নিয়েছেন শিরোমণি অকালি দলের সভাপতি সুখবির সিং বাদল। কংগ্রেস সরকারের মদতেই দলের মন্ত্রী- বিধায়করা এই অবৈধ মাদক ব্যবসা চালাচ্ছেন বলে সরাসরি অভিযোগ এনেছেন এই শিরোমণি অকালি দলের সভাপতি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তবে ঘটনার কড়া হাতে মোকাবিলা করছেন বলে দাবি পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর। এপর্যন্ত এই ঘটনার দায়ে ২৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৭ জন আবগারি দফতরের আধিকারিক ও  ৬ পুলিসকর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিরোধী দলের নেতা বাদল এই ঘটনাকে খুনের তকমা দিয়ে শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনায় রাজনীতি না করার পরামর্শ দিয়ে মনে করিয়ে দেন অতীতেও অকালি দল ও বিজেপির সময়ও এমন বিষমদ কাণ্ড ঘটেছে। মুখ্যমন্ত্রী পাল্টা অভিযোগ এনেছেন আগে বাটালার ঘটনায় অনেকের মৃত্যু হলেও এখনও প্রধান অভিযুক্তর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়নি।


আরও পড়ুন: CISF জওয়ানদের জন্য ফতোয়া! সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারের সমালোচনা বন্ধ


তবে এবারের ঘটনায় শুধু তারন তরন জেলায়ই ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। অমৃতসরে ১২ ও গুরুদাসপুরের বাটালায় ১১ জন। প্রথম মৃত্যুর খবর মিলেছিল অমৃতসরের মুছল গ্রামে শুক্রবার রাত পর্যন্ত এই ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৩৮। শনিবার রাতে আরও ৪৮ বেড়ে এখন মোট ৮৬। চন্ডীগঢ়ের আধিকারিকদের কথা অনুযায়ী কতজন এই বিষমদ খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি তা এখন বলা সম্ভব নয়।


শুক্রবার এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছিল ৮ জন। শুধুমাত্র শনিবারই প্রায় ১০০ জায়গায় হানা দিয়ে আরও ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। রেডের সময় রাজপুরা, পাতিয়ালা ও শম্ভু সীমান্তের বিভিন্ন ধাবা ও গ্রাম থেকে অধিক মাত্রায় মাদক তৈরির কাঁচামাল "লাহন" বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিস। এমনটাই জানিয়েছেন ডিরেক্টর জেনারেল অব পুলিস দিঙ্কর গুপ্তা।