নিজস্ব প্রতিবেদন: অসমে বন্যা পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। জানা গিয়েছে, অসমের ৩৩টি জেলার মধ্যে ৩০টি জেলা জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। বন্যা প্লাবিত এলাকায় আটকে রয়েছেন প্রায় ৪৩ লক্ষ মানুষ। রাজ্যের বন্যা কবলিত ৩০টি জেলার ৪ হাজারেরও বেশি গ্রাম সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত। বন্যা বিপর্যস্ত অসমে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৫।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অসমের বন দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের প্রায় ৯৫ শতাংশ এলাকাই এখন জলের তলায়। বিগত দু’দিনে কাজিরাঙায় অন্তত ১৭টি বন্যপ্রাণীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, রাজ্যের প্রায় ৯০ হাজার হেক্টর কৃষি জমি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র-সহ রাজ্যের ১১টি নদীর জল এখন বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বন্যা কবলিত এলাকা থেকে প্রায় ৮৩ হাজার মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হয়েছে। বন্যা দুর্গতদের জন্য রাজ্যে ১৮৩টি ত্রাণশিবির গড়ে তোলা হয়েছে।


আরও পড়ুন: অসমে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১, রাতভর বৃষ্টির জেরে বন্যার কবলে বিহার-হরিয়ানাও


বর্তমান সংকট এবং বন্যা-পরবর্তী পরিস্থিতির মোকাবিলায় অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোওয়াল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরকে আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে বলেছেন। শুল্ক এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরে অতিরিক্ত সচিব কুমার সঞ্জয় কৃষ্ণ জানান, গত বছর বন্যার জন্য কেন্দ্র যে ৫৯০ কোটি টাকার অনুদান দিয়েছিল, সেই অর্থ দিয়েই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বন্যা বিপর্যস্ত জেলাগুলিতে ত্রাণের জন্য প্রায় ৫৬ কোটি টাকা পাঠানো হয়েছে। বন্যা বিপর্যস্ত অসমকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে কেন্দ্র।