জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: একই বছরে ২৬ জন। ফের কোটায় আত্মঘাতী এক পড়ুয়া। মাত্র কুড়ির বছর বয়সি বাঙালি এই পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার করা হয় তাঁর ঘর থেকে। সারা ভারতে বিভিন্ন পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য রাজস্থানের কোটা বিখ্যাত। একইভাবে এই পড়ুয়াও স্নাতক মেডিকেল কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট (NEET) প্রস্তুতি নিতে কোটায় যায়। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Uttarkashi tunnel rescue: বাকি আর কয়েক মিটার, দ্রুত এগোচ্ছে ম্যানুয়াল ড্রিলিংয়ের কাজ


স্থানীয় পুলিস অফিসার রাজেশ পাঠক বলেন, '২০ বছর বয়সী এই পড়ুয়া অনেকক্ষণ ধরেই নিজের ঘরে বন্ধ ছিলেন। সাড়া না পাওয়ায় বাড়িওয়ালা তাঁদের খবর দেয়।' পুলিস এসে দরজা ভাঙ্গে। এবং সিলিং ফ্যান থেকে পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। তিনি আরও জানান, 'এখনও কোনো সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। বন্ধুরা এবং কোচিং ফ্যাকাল্টিরাও পড়ুয়ার কোনো আচরণগত পরিবর্তনের রিপোর্ট করেনি। তাঁর বাবা-মা শহরে পৌঁছানোর পর তাঁরা রুম তল্লাশি করতে পারবে। মৃতদেব ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি তদন্তও চলছে।'


জানা গিয়েছে, মৃত পড়ুয়ার নাম ফরিদ হুসেন। পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা ২০ বছর বয়সী ফরিদ গত বছর থেকেই কোটায় NEET প্রবেশিকার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে একটি ভাড়াবাড়িতে থাকতেন তিনি। অনুমান করা যাচ্ছে যে, বাকি পড়ুয়াদের মতই পড়াশোনার চাপের কারণেই এমন সিদ্ধান্ত এই পড়ুয়ার। 


আরও পড়ুন: Kerala | Minor Physical Assault Case: নারকীয় ঘটনা কেরালায়, প্রেমিকার সাহায্যেই তার নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণ প্রেমিকের!


পুলিস সূত্রে খবর, এই বছর কোটায় মোট ২৬ জন ছাত্র আত্মহত্যা করেছে। ২০১৫ সালের পর এই সংখ্যাটি সর্বোচ্চ। 


কোটা হল ভারতের পরীক্ষা-প্রস্তুতি কেন্দ্র। যা এখন ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। এই কোচিং সেন্টারগুলির বার্ষিক ব্যবসা প্রায় ১০,০০০ কোটি টাকা। সারাদেশের ছাত্র-ছাত্রীরা দশম শ্রেণী শেষ করার পর কোটায় আসে৷ কিছু ছাত্ররা তাদের পরিবারের কাছ থেকে দূরে থাকার কারণে মানসিক চাপের সৃষ্টি হয়।  ১৯ সেপ্টেম্বর, উত্তর প্রদেশের ১৬ বছর বয়সী একজন ছাত্র বিষ খেয়ে মারা যায় এবং আবার ১৩ সেপ্টেম্বর ঝাড়খণ্ডের আরেকজন মারা যায়। ২৭ আগস্ট বিহার এবং মহারাষ্ট্রের আরও দুইজন নিট ছাত্র তাঁদের সাপ্তাহিক পরীক্ষায় উপস্থিত হওয়ার ছয় ঘন্টার মধ্যেই আত্মহত্যা করে।


আরও পড়ুন: Bengaluru Illegal Abortion Racket: প্রতি বছর ৩০০ করে গর্ভপাত, পিশাচ ডাক্তারের হাড়হিম কীর্তি


একটি পরিসংখ্যান দেখে দেখা যাচ্ছে করোনার পর দেশে আত্মহত্যার সংখ্যা কমপক্ষে ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কোটাতেও সেই ছবি দেখা যাচ্ছে। ২০১৮ সালে কোটায় আত্মঘাতী হয়েছিলেন ১২ জন। এর আগের বছর ওই সংখ্য়াটা ছিল ১০। গত বছর ১৫ পড়ুয়া আত্মহত্যা করেন কোটায়। 


একের পর এক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে চলেছে কোটায়। সেদিকে নজর রেখে স্প্রিং দেওয়া সিলিং ফ্যান লাগাতে বলা হয়েছে হস্টেলগুলিকে। কেউ সেখানে ফাঁস দিয়ে ঝুললেই তা অনকেটাই নীচের দিকে নেমে যাবে। পাশাপাশি ছাদ থেকে কেউ যাতে নীচে ঝাঁপ দিতে না পারে তার জন্য হস্টেলের চারদিকে জাল টাঙাতেও নির্দেশ দেয় প্রশাসন।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)