নিজস্ব প্রতিবেদন: দু’দিনের ভারত সফরে মঙ্গলবার সুকনার সেনাবাহিনীর ৩৩ কর্পসে পরিদর্শনে এসেছে পিপলস লিবারেশন আর্মির একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল। ডোকলাম ইস্যুর পর ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে চিনা সেনার এই পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এপ্রিলের শেষে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সে সময় ফের ডোকালাম ইস্যু-সহ ভারত-চিনের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার অস্থিরতা নিয়ে আলোচনা হয় দু’দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- কুম্ভমেলা উপলক্ষে রাস্তা চওড়া করতে একাধিক মসজিদের অংশ ভাঙলেন মুসলিমরা


ভারতীয় সেনার মুখপাত্র উইং কম্যান্ডার এস এস বিরদি জানিয়েছেন, হুয়ান সম্মেলনে মোদী-জিনপিংয়ের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করতে চিনা সেনার প্রতিনিধিদের এই সফর। সুকনায় ৩৩ কর্পস ঘাঁটি, ভারত-তিব্বত সীমান্তের একটি স্পর্শকাতর এলাকা। সুকনার এই প্রধান কার্যালয়ে ভারতীয় সেনা প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবে লেফ্ট্যানেন্ট জেনারেল লিউ শিয়াওউ-র নেতৃত্বে ১০ প্রতিনিধির একটি দল। ভারতের হয়ে এই বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব করবেন লেফ্ট্যানেন্ট জেনারেল প্রদীপ এম বালি।


উইং কম্যান্ডার বিরদি আরও জানিয়েছেন, সুকনার প্রধান কার্যালয়ে দুই দেশের সেনা প্রতিনিধিদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হবে। সীমান্তে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে বেশ কয়েকটি চুক্তি সম্পাদিত করবেন প্রতিনিধিরা।



কিন্তু, সুকনায় চিনা প্রতিনিধিদের এই পরিদর্শন কেন গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা? তাঁদের মতে, সুকনা হেড কোয়ার্টারটি শিলিগুড়ি করিডর বা চিকেন নেক-এর খুব কাছাকাছি। এই অঞ্চলের মাধ্যমে বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান এবং চিনের সঙ্গে সুতোর মতো আন্তর্জাতিক যোগসূত্র রয়েছে ভারতের। এই সফর আদ্যন্তে কূটনৈতিক হলেও এই জায়াগায় পিএলএ প্রতিনিধিদের পরিদর্শন ভবিষ্যতে কোনও প্রশ্নের মুখে ফেলতে পারে কি না, সেই আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছে না বিশেষজ্ঞরা। অনেকেই এ বিষয়ে পাঠানকোটে পাকিস্তানের প্রতিনিধিদের পরিদর্শনের উদাহরণ টানছেন।


আরও পড়ুন- আমি শাহেনশা নই : মোদী


সূত্রে খবর, সুকনা পরিদর্শনের পর ৫ জুলাই কলকাতায় ইস্টার্ন কম্যান্ডারের প্রধান কার্যালয় অর্থাত্ ফোর্ট উইলিয়ামেও আসবেন চিনা সেনার প্রতিনিধিরা।  সফরের শুরুতেই দিল্লি এবং আগ্রা পরিদর্শন করেছে এই প্রতিনিধি দল।