ওয়েব ডেস্ক: কথায় আছে জন্ম-মৃত্যু-বিয়ে, তিন বিধাতা নিয়ে। সবই নাকি ভাগ্য! স্বর্গ থেকেই নাকি ঠিক হয়ে আসে বিয়ে! সত্যিই কি তাই? হয়ত তাই, বা তা নয়! যে যাই হোক, আধুনিক সময়ে বিয়ে কিন্তু ঠিক হচ্ছে ফেসবুকেই। আপনি বিশ্বাস করুন আর নাই বা করুন এটাই সত্যি! এই তো, ঝাড়খণ্ডের রীতেশ আর সুদিপ্তীর বিয়েটাও তো হল এভাবেই। তবে এই গল্পে আছে একটা ছোট্ট টুইস্ট। 'ফেসবুকে হল আংটি বদল', রেজিস্ট্রি করে বিয়ে, তারপর বড় গেল জেলে, কনে এলেন বাড়িতে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২৮ বছর বয়সী ইঞ্জিনিয়ার রীতেশ কুমারের সঙ্গে ২০১২ সালে ফেসবুকেই আলাপ হয় ২৫ বছরের যুবতী সুদিপ্তী কুমারীর। চ্যাট বাক্স থেকে মোবাইল নম্বর দেওয়া নেওয়া, এরপর দূরভাষে একটু একটু করে নিজদের কাছাকাছি আসা। বিহারে ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ারে কর্মরত অবস্থায় প্রায়ই সুদিপ্তীর সঙ্গে দেখাও করতেন রীতেশ। এরপর গোপনে বিয়ে। ধর্মীয় রীতি মেনেই দুজনে বিয়ে করেন মন্দিরে। তখনও পর্যন্ত তারাই কেবল জানাতেন তাদের বিয়ের কথা। সময় এগিয়ে যায়, বাড়ি থেকে বিয়ের চাপ আসে সুদিপ্তীর। তখনই রীতেশকে সামাজিক নিয়ম মেনে তাকে বিয়ে করার কথা বলে সুদিপ্তী। রাজি ছিল না রীতেশ। এখানেই গল্পের ক্লাইম্যাক্স। নিজের প্রেমিককেই গারদে পাঠাতে উদ্যত প্রেমিকা! গোটা ঘটনা জানিয়ে পুলিসের কাছে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ জানায় সুদিপ্তী। অভিযোগের ভিত্তিতে রীতেশকে গ্রেফতারও করে পুলিস। আর এখানেই গল্পের টুইস্ট। জেলবন্দি রীতেশ রাজি হয় সুদিপ্তীকে বিয়ে করতে। অবশেষে দুই পরিবাররে সম্মতিতে জেলের বাইরে এসে রেজিস্ট্রি বিয়ে করেন রীতেশ এবং সুদিপ্তী। আর বিয়ের পরেই ফিরে যান জেলে। নিজের বাড়িতে ফেরেন পাত্রী সুদিপ্তী। প্রশ্ন, এরপর তাহলে কী হবে?


মামলার পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত জেলেই থাকতে হবে রীতেশকে। উল্লেখ্য, ২০১৭ ফেব্রুয়ারি থেকেই জেলে আছেন তিনি। মামলার নিষ্পত্তি হলেই জেল থেকে ছাড়া পাবেন রীতেশ, তারপরই থাকতে পারবেন স্ত্রী সুদিপ্তীর সঙ্গে।