Mulayam Singh Yadav: প্রয়াত মুলায়ম, ফিরে দেখা তাঁর রাজনৈতিক জীবন
৮২ বছর বয়সে প্রয়াত মুলায়ম সিং যাদব। ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠা করেন সমাজবাদি পার্টি। ১০ বারের বিধায়ক এবং সাতবারের সাংসদ শেষ নিশ্বাস ত্যগ করেন গুরুগ্রামের মেদান্তা হাসপাতালে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সোমবার সকালে গুরুগ্রামের মেদান্তা হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন মুলায়ম সিং যাদব। সমাজবাদি পার্টির সুপ্রিমো এবং উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুলায়ম সিং যাদবের বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। ২২ অগস্ট থেকেই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন মুলায়ম। গত ২ অক্টোবর তাঁকে আইসিইউ –তে স্থানান্তর করা হয়। তাঁর ছেলে এবং উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব ট্যুইট করে জানিয়েছেন, ‘আমার শ্রদ্ধেও পিতা এবং সকলের ‘নেতা জি আর নেই’। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে ৮২ বছরের এই নেতার শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা ছিল এবং মেদান্তা হাসপাতালে ইন্টারনাল মেডিসিন এক্সপার্টের তত্বাবধানে ছিলেন তিনি। হাসাতাল সূত্রে আরও জানা গিয়েছে যে তিনি মুত্রের সংক্রমণেও ভুগছিলেন।
১৯৩৯ সালের ২২ নভেম্বর উত্তর প্রদেশের ইটাওয়া জেলার সাইফাই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তাঁর বাবার নাম ছিল সুঘর সিং যাদব এবং মায়ের নাম মুর্তি দেবী। ড. রাম মনোহর লোহিয়ার সমাজবাদি ভাবধারায় উদবুদ্ধ হয়ে রাজনীতিতে যোগ দেন তিনি। একই সঙ্গে সর্বশ্রি মধু লিমায়ে, কার্পুরি ঠাকুর, রাম সেবক যাদব, রাজ নারায়ন এবং জ্ঞানেস্বর মিশ্রর সঙ্গে সাক্ষাৎঅ তাঁকে এই কাজে উদবুদ্ধ করে। তাঁর সম্পূর্ণ কেরিয়ার জুড়ে তিনি বিভিন্ন সময়ে বিতর্কে শির্ষে থেকেছেন।
১৯৬৭ সালে ২৮ বছর বয়েসে প্রথমবার বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি। প্রায় ৫০ বছরব্যাপী ছিল তাঁর রাজনৈতিক জীবন। ের মাঝে ১০ বার বিধায়ক এবং সাত বার সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
১৯৮৯ সালে প্রথমবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হন তিনি। ১৯৯২ সালে সমাজবাদি পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। রাম মনোহর লোহিয়ার আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে এই পার্টির প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। এরপরেই বহুজন সমাজ পার্টির সগে জোট বেঁধে ১৯৯৩ সালে উত্তর প্রদেশের ক্ষমতা দখল করেন তিনি।
তিনি তিনবার উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। প্রথমবার ১৯৮৯ থেকে ১৯৯১। এরপরে ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৫ এবং সব শেষে ২০০৩ থেকে ২০০৭। এছাড়াও ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
১৯৮০-র দশকের শেষের দিকে দেশে হিন্দুত্বর উত্থ্বানের সমসাময়িক ছিল তাঁর রাজনৈতিক উত্থ্বান।
২০২২ সালের জুলাই মাসে তাঁর স্ত্রী সাধনা গুপ্তার মৃত্যু হয়। সেই সময়ে ফুসফুসে সংক্রমণের চিকিৎসা করা হচ্ছিল তাঁর।