নিজস্ব প্রতিবেদন- অনলাইন ক্লাস। শব্দগুলোতে আধুনিকতার ছোঁয়া রয়েছে বটে! কিন্তু এই আধুনিকতার ছোঁয়া পাওয়ার সামর্থ কি এদেশে সবার আছে! লকডাউনের জেরে দেশের কয়েক কোটি ছাত্র-ছাত্রীর ভবিষ্যত্ ঝুলে রয়েছে। পরীক্ষা বাতিল হয়েছে আগেই। বহু স্কুল, কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। অভিভাবকরা বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি এই পরিস্থিতিতে অনলাইন ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রোজ নির্ধারিত সময়ে শুর হচ্ছে সেই অনলাইন ক্লাস। কিন্তু এই অনলাইন ক্লাসে যোগ দেওয়ার জন্য অবধারিতভাবে প্রয়োজন স্মার্টফোন। আর সেটা কিনতে গিয়েই হিমশিম খাচ্ছে বহু ছাত্র-ছাত্রীর পরিবার। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শুধুমাত্র একটা স্মার্টফোন না থাকার জন্য কত ছাত্র-ছাত্রীকে মাঝপথে পড়াশোনায় দাড়ি টানতে হচ্ছে! দেশজুড়ে হতাশায় ছাত্র-ছাত্রীদের আত্মহত্যার ঘটনাও সামনে এসেছে। স্মার্টফোন নেই মানে অনলাইন ক্লাসে যোগ দেওয়ার সুযোগ নেই। তা হলে পড়াশোনা হবে কী করে! উত্তর নেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির কাছে। তা হলে যাদের কাছে স্মার্টফোন নেই তারা কি আর পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবে না! মেধাবি হওয়া সত্ত্বেও মাত্র একটা স্মার্টফোনের অভাব কেড়ে নেবে ভবিষ্যতে বড় হওয়ার স্বপ্ন! এসব প্রশ্নের উত্তর এখন কারও কাছে নেই। এমনই অনেক প্রশ্ন হয়তো মাথায় এসেছিল হিমাচল প্রদেশের জ্বালামুখীর গুমার গ্রামের কুলদীপ কুমারের মনে। তিনি উত্তর পাননি।


আরও পড়ুন-  খবরের কাগজের সঙ্গে সাঁটা সার্জিকাল মাস্ক! সাতসকালে অবাক হলেন পাঠকরা


আর কোনও উপায় ছিল না কুলদীপের কাছে। তিনি সন্তানদের পড়াশোনা শেখাতে চেয়েছিলেন। মাত্র একটা স্মার্টফোনের জন্য তিনি তাদের পড়াশোনা মাঝপথে বন্ধ করতে রাজি হননি। তাই নিজের শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করে সন্তানদের স্মার্টফোন কিনে দেন। শেষ সম্বল বলতে পোষা গরু। আর কিছুই ছিল না তাঁর কাছে বিক্রি করার মতো। সন্তানদের বাবা তিনি। দায়িত্ব অনেক। যেভাবেই হোক দায়িত্ব পালন তো করতে হবে! তবে জ্বালামুখীর বিধায়ক রমেশ ধাওয়ালা সংবাদমাধ্যমের থেকে কুলদীপের দুরাবস্থা জানার পর এগিয়ে এসেছেন। ওই একটিমাত্র গরুর দুধ বিক্রি করে চলত কুলদীপের সংসার। স্মার্টফোন কিনতে গিয়ে এখন তিনি সহায়সম্বলহীন। দুই সন্তানের মধ্যে অন্নু পড়ে চতুর্থ শ্রেণিতে। আর দিপ্পু দ্বিতীয় শ্রেণিতে। অনেক চেষ্টা করেও স্মার্টফোন কেনার টাকা জোগাড় করতে পারেননি কুলদীপ। তাই শেষমেশ নিজের শেষ সম্বলটুকু বিক্রির করার কঠিন সিদ্ধান্ত নেন।