নিজস্ব প্রতিবেদন:  বিরাট তুষার ধস। হুড়মুড়িয়ে এগিয়ে আসে বরফ-জল। জলের স্তর বেড়ে চলে ক্রমশ। ঘটনায় ভেসে যায় ১৫০র বেশি জন। বেশ কয়েকদিন ধরেই উত্তরাখণ্ডে চলছিল বৃষ্টিপাত সঙ্গে তুষারপাত। তার জেরেই এই ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। এরপরই হরিদ্বার পর্যন্ত হাই অ্যালার্ট জারি করা রয়েছে। ধসের জন্য ধৌলিগঙ্গার বাঁধে ভাঙন ধরেছে। জানা গিয়েছে, চামোলি হিমবাহে ফাটলের কারণে এই ধস।  ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জোশীমঠের কাছে গ্রামগুলি। ধৌলিগঙ্গার পাশের গ্রাম খালি করা হয়েছে। উদ্ধার কাজে ITBP ,NDRF, SDRF। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কেদারনাথের স্মৃতি উসকে দিল জোশীমঠের ঘটনা। প্রকৃতির তাণ্ডবের কাছে মানুষ অসহায়। প্রায় ১৫০ জনের বেশি নিখোঁজ, তাঁরা জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছেন বলেই সন্দেহ করা হচ্ছে। উদ্ধার করা হয়েছে ১০ জনের মৃত দেহ। 


 



 


জানা গিয়েছে, বদ্রীনাথ মন্দিরের কাছাকাছি স্থানে ঘটেছে এই তুষার ধস। ২০১৩ সালে উত্তরাখণ্ডে যে ভয়াবহ তুষার ধসের কারণে হরপা বান হয়, তা ছিল কেদারনাথ মন্দির সংলগ্ন এলাকায়।  ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চামোলির তপোবন এলাকার রেইনি গ্রামের কাছে বিদ্যুৎ প্রকল্প। এই প্রকল্পে যতজন কাজ করছিলেন তাঁরা প্রত্যেকেই প্রায় নিখোঁজ বলে খবর।   


 


 






উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত টুইট করেন, 'গোটা ঘটনার উপর নজর রাখছি। প্রত্যেককে অনুরোধ করছি কোনও পুরানো ভিডিও শেয়ার করে আতঙ্ক ছড়াবেন না। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজন সকলের সহযোগিতা। ধৈর্য রাখুন। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কাছে আমাদের হাত বাঁধা'। তিনি অলাকানন্দার নিম্নাঞ্চলে বন্যার সম্ভাবনাও কথা উল্লেখ করেছেন।


এদিন টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী ও অমিত শাহ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'উত্তরাখণ্ডের দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতি অবিরত পর্যবেক্ষণ করছি। গোটা দেশ উত্তরাখণ্ডের পাশে আছে। সকলের নিরাপত্তার জন্য পার্থনা করছি'।




বর্তমানে জোর কদমে চলছে উদ্ধারকাজ।