নিজস্ব প্রতিবেদন: পথ দুর্ঘটনা। হামেশাই ঘটে রাস্তাঘাটে। আমরা অনেকেই অযথা ঝামেলা এড়াতে দেখেও না দেখার ভান করে চলে যাই। এমনকী, যিনি ধাক্কা দিয়েছেন, সেই গাড়ি বা বাইক চালকও ভয়ে পালিয়ে যান।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


কিন্তু ‘ভীতু’দের সেই দলে নেই মিজোরামের ওই ছোট্ট ছেলেটি। সে জানে তার দায়িত্ব ঠিক কী!


তাই তার সাইকেলের ধাক্কায় আহতকে রাস্তায় ফেলে রেখে পালায়নি সে। বরং আহতকে নিয়ে সোজা চলে এসেছে হাসপাতালে। তার কাছে থাকা সব টাকা দিয়ে চিকিত্সার ব্যবস্থা করার আর্জিও জানিয়েছে।


আরও পড়ুন: প্রবল ঝড়-বৃষ্টির মুখে কর্তব্যে অটল ‘চৌকিদার’ ট্রাফিক পুলিস, কুর্নিশ নেটিজেনের


সম্প্রতি ফেসবুকে ওই শিশুটি সম্পর্কে একটি পোস্ট করেন এক ব্যক্তি। তাতে দেখা যাচ্ছে ছোট্ট ছেলেটির বাঁহাতে ধরা একটি মুরগির ছানা। আর অন্য হাতে দশ টাকার একটি নোট।


আসলে সে হাসপাতালে এসেছিল ওই মুরগির ছানাটির চিকিত্সা করানোর জন্য। কারণ, তার সাইকেলের ধাক্কায় ওই মুরগির ছানাটিই আহত হয়। তাই আহতের চিকিত্সা করাতেই সে হাসপাতালে আসে।


আরও পড়ুন: দেশে এই প্রথমবার, রূপান্তরকামীদের জন্য গণবিবাহের আয়োজন ছত্তীসগঢ়ে


তার কাছে দশ টাকাই ছিল। তাই হাসপাতালে এসে সে ওই দশ টাকার বিনিময়ে আহত মুরগির ছানাটির চিকিত্সার আর্জি জানায়।



শিশুদের মন জলের মতো স্বচ্ছ হয়। তাদের ভগবানের আরেক রূপ বলেই ধরা হয়। আর সেই কারণেই বোধহয় পরিণত বয়স্কদের দায় এড়ানোর চেষ্টাই করেনি ওই একরত্তি মিজো বালকটি।