ভারতেরই (India) এমন এক জায়গা, যেখানে Corona-য় আক্রান্ত একজনও নেই, জানেন কি?
এখনো দেশের একটি জায়গা রয়েছে যেখানে একজনও ভাইরাসের শিকার হয়নি।
নিজস্ব প্রতিবেদন- করোনায় জেরবার গোটা বিশ্ব। ভারতে করোনা সংক্রমণও থামেনি এখনও। ইতিমধ্যে দেশের শীর্ষ আদালত সংক্রমণের হার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ভারতে এখন সংক্রমিতের সংখ্যা এক কোটি পার করে গিয়েছে। দেশের প্রতিটি রাজ্যের সংক্রমণের হার প্রশাসনের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবু এখনো দেশের একটি জায়গা রয়েছে যেখানে একজনও ভাইরাসের শিকার হয়নি। সারা দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা আমূল পরিবর্তন হয়েছে করোনার জন্য। প্রায় আট মাসের বেশি সময় ধরে বহু জায়গায় স্কুল-কলেজ বন্ধ। নানা উপায়েও সংক্রমণের হার কমানো যায়নি। কিন্তু লাক্ষাদ্বীপের ছবিটা যেন একেবারেই আলাদা।
করোনা মহামারীর সময় লাক্ষাদ্বীপের বাসিন্দারা দিব্যি বিয়ে বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন। এমনকী সেখানে প্রিয় জন মারা গেলেও অন্তিমযাত্রায় যাওয়ার ব্যাপারে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। এমনকী, মাস্ক পরা বা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারেও লাক্ষাদ্বীপের প্রশাসন কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি করে রাখেনি। স্কুল-কলেজে দিব্যি খোলা রয়েছে। কিন্তু কী করে লাক্ষাদ্বীপ করোনাকে এত সহজে হারিয়ে দিল! লাক্ষাদ্বীপের এক সংসদ মহাম্মদ ফয়সাল জানিয়েছেন, সময়মতো লকডাউন, কোয়ারেন্টাইন এর ব্যবস্থা করাতেই এখনও নিরাপদ রয়েছে এই দ্বীপ। অন্য দ্বীপে যাওয়ার ব্যাপারে সময়মতো নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। এমনকী জরুরী কাজ না থাকলে কেউ কোচিতেও যেতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিল প্রশাসন। গত কয়েক মাস বাইরের কাউকে লাক্ষাদ্বীপে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। কোনও জরুরি কাজে কেউ এলে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- Farmers' Protest Update: এ বার মোদীজিকে চিঠি লিখলেন কৃষকেরা, পালিত হল শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবস
এখনো লাক্ষাদ্বীপের কেউ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া দ্বীপের বাইরে যেতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। কেউ কোনও গুরুত্বপূর্ণ কাজে বাইরে থেকে এলে তাঁকে সরকারি নিয়ম মেনে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হচ্ছে। সময় মতো একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি ও পালনের ফলে লাক্ষাদ্বীপ করোনা মহামারীর থেকে নিজেদের বাঁচাতে পেরেছে বলে দাবি করছে স্থানীয় প্রশাসন। লাক্ষাদ্বীপের প্রশাসনের দাবি, সন্দেহজনক সবার পরীক্ষা করা হয়েছে সময় মতো। গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছাড়া কেউ দ্বীপের বাইরে যাননি। তাতেই কাজের কাজ হয়েছে।