নিজস্ব প্রতিবেদন - তা হলে সর্ষের মধ্যেই ভূত! মহারাষ্ট্রের দেভলালী পুলিস ২১ বছর বয়সী একটি ছেলেকে গ্রেফতার করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, আর্মি ক্যাম্পের বিভিন্ন জায়গার ছবি তুলে পাকিস্তানের কোনও অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির কাছে পাঠাচ্ছে সে। দেভলালী নাসিক জেলার অন্তর্গত। এখানে কমব্যাট আর্মির স্কুল রয়েছে। এমনকী এভিয়েশন প্রশিক্ষণের স্কুল ছাড়াও সেনার একাধিক ছাউনি রয়েছে। এই এলাকায় এমনিতেই সুরক্ষা ব্যবস্থা আটোসাঁটো থাকে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, তাহলে কি দেভলালি এলাকায় কোনো বড়সড় নাশকতার ছক কষেছিল জঙ্গিরা! আর পাকিস্তানে বসে থাকা জঙ্গি সংগঠনের কোনও মাস্টার মাইন্ড সেই ছক কষছিল! ২১ বছর বয়সী ছেলেটিকে জেরা করছে সেনা ও পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আর্মি ক্যাম্পের ভিতরে টুকটাক কাজ করত ছেলেটি। কিন্তু তার মোবাইল খতিয়ে দেখার পর সেনা দাবি করছে, কাজ করার উদ্দেশ্যে সে সেনাছাউনিতে আসেনি। এদিন ছেলেটিকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন সেনা জওয়ানরা। সেই সময় আর্মি ক্যাম্পের ভিতরে সেনার হাসপাতালে কয়েকটি জায়গার ছবি ও ভিডিও শুট করছিল ছেলেটি। এর পরেই তাকে আটক করা হয়। জেরার মুখে সেই ছেলেটি স্বীকার করেছে, হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে পাকিস্তানের কোনো এক ব্যক্তিকে ছবি পাঠাত সে। হাই সিকিউরিটি জোন হওয়ায় ওই এলাকায় কোনও রকম ছবি তোলা বারণ। জানা গিয়েছে, ছেলেটির নাম সঞ্জীব কুমার। তবে এটি তাঁর ছদ্মনাম কিনা সেটাই খতিয়ে দেখছে সেনা ও পুলিস।


আরও পড়ুন-  হাথরসে অভিযুক্তদের সমর্থনে সভা বিজেপি নেতার, কাঠুয়া, উন্নাওয়ের পুনরাবৃত্তি!


পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে, বছরখানেক ধরে দেভলালি সেনা ছাউনির ভেতরে একটি হাসপাতাল নির্মাণের কাজ চলছে। সেই হাসপাতালে কনস্ট্রাকশন কাজের সঙ্গে যুক্ত ছেলেটি। শ্রমিক হিসাবে কাজ করছিল সে। গত এক মাস ধরে ছেলেটি সেনা ছাউনির ভেতরে শ্রমিক হিসেবে কাজ করে। গত কয়েকদিন ধরেই তার গতিবিধি দেখে সন্দেহ হয় বেশ কিছু জাওয়ানের। তারপর সেই ছেলেটির উপর নজর রাখা শুরু করেন সেনা জওয়ানরা। এদিন একেবারে হাতেনাতে ধরা হয় তাকে।