নিজস্ব প্রতিবেদন- বহুদিন ধরেই ওই বিল্ডিং-এর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় সাধারণ মানুষের পিলে চমকে উঠত। পুরসভার তরফে বহুদিন আগেই বিপজ্জনক বাড়ির তকমা লাগানো হয়েছিল। তবুও বাড়ির লোকজনের টনক নড়েনি। পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, বহু পুরনো, জরাজীর্ণ সেই বাড়িতে লোক সংখ্যা বেশি। যে কোনও দিল বড় বিপদ হতে পারে। শেষমেশ বড় বিপদের আশঙ্কাই সত্যি হল। মহারাষ্ট্রের ভিবন্ডির পটেল কম্পাউন্ড এলাকার একটি তিন তলা বাড়ি ভেঙে পড়ল চোখের নিমেশে। মুহূর্তের মধ্যে প্রাণ হারালেন দশ জন। আরো ৫০ থেকে ৬০ জন ধ্বংসস্তুপে আটকে রয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এনডিআরএফ-এর দুটি দল ধ্বংসস্তুপ সরিয়ে উদ্ধার কাজে নেমে পড়েছে। বরাতজোরে বেঁচে গিয়েছেন ২৫ জন। তাঁদের সবাইকে উদ্ধার করেছে এনডিআরএফ। তবে এখনো অনেকেই ধ্বংসস্তুপে চাপা পড়ে আছে বলে মনে করা হচ্ছে। ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকে থাকা একটি শিশুকেও উদ্ধার করতে পেরেছে এনডিআরএফ। ১৯৮৪ সালে নির্মিত এই বিল্ডিং-এ মোট ২১টি পরিবার থাকত। বিল্ডিংয়ের অবস্থা কয়েক বছর ধরেই বেশ খারাপ। কিন্তু আর্থিক অস্বচ্ছলতা ও শরিকী বিবাদের জেরে কেউই বিল্ডিং সারানোর উদ্যোগ নেয়নি. এরই মধ্যে পুরসভা এই বিল্ডিংকে বিপজ্জনক বলে ঘোষণা করেছিল।


আরও পড়ুন-  স্ত্রীর গর্ভের সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে, জানার জন্য স্ত্রীর পেট চিরে ফেলল মত্ত স্বামী



স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ তারা কান ফাটানো আওয়াজ শুনতে পান। বাইরে এসে সবাই দেখতে পান, আস্ত বিল্ডিং মাটিতে মিশে গিয়েছে। এর পরই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। ঘুমের মধ্যে ধ্বংসস্তুপে চাপ পড়ে মারা গিয়েছেন বিল্ডিংয়ে বসবাসকারী ১০ জন।