রান্নার বাসনে চেপে নদী পার! হাসপাতাল পৌঁছতে `যুদ্ধ` করলেন গর্ভবতী মহিলা
ঝুঁকি নিয়ে ওই গর্ভবতী মহিলাকে রান্নার বাসনে বসিয়ে নদীতে ভাসানো হল।
নিজস্ব প্রতিবেদন- হাসপাতালে পৌঁছতে গিয়ে তাঁকে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হল। গোটা দেশের বিভিন্ন জায়গায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। এমন অবস্থায় জলের জন্য বহু মানুষ নিজেদের এলাকায় আটকে পড়েছেন। জরুরি পরিষেবার জন্যও কোথাও যেতে পারছেন না। তার উপর রাস্তাঘাটের শোচনীয় অবস্থা। দিনের পর দিন কর দেওয়া সত্ত্বেও মানুষকে ভুগতে হয়। নেতা-মন্ত্রীরা মানুষের দিকে ফিরেও তাকান না। রাস্তা তৈরির টাকা কোথায় যে উধাও হয়ে যায় কেউ জানে না! আর তাই দিনের পর দিন ভুগতে হয় সাধারণ মানুষকে। সেই ভোগান্তির আরও এক হৃদয়বিদারক ঘটনা সামনে এল। এক গর্ভবতী মহিলাকে হাসপাতেলে পৌঁছতে কাঠ-খড় পোড়াতে হল বিস্তর।
ছত্তিশগড়ের বিজাপুরের গোরলায় ঘটনা। একজন গর্ভবতী মহিলাকে রান্নার বাসনে বসিয়ে নদী পার করা হল। তার পর ১৫ কিমি রাস্তা অনেক কষ্টে পার করে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হল হাসপাতালে। তবে সেখানে গিয়েও তাঁর ঠিকঠাক চিকিত্সা হল না। ওই মহিলার বাড়ির লোক পরিবারের লোকজন চিকিত্সায় গাফিলতির অভিযোগ করেছে। জানা গিয়েছে, নদীর উপর কোনও ব্রিজ নেই বহুদিন ধরে। অন্য সময় লোকজন নৌকায় চেপে এপার থেকে ওপারে যায়। কিন্তু বর্ষায় নদী ফুলে-ফেপে উঠেছে। তাই নৌকা চলাচল করছে না। এমন অবস্থায় ঝুঁকি নিয়ে ওই গর্ভবতী মহিলাকে রান্নার বাসনে বসিয়ে নদীতে ভাসানো হল।
আরও পড়ুন- অনলাইন ক্লাস! নিজের শেষ সম্বলটুকুও বেঁচে ছেলেকে স্মার্টফোন কিনে দিলেন বাবা
ঝুঁকি নিয়ে বর্ষার নদী পেরনোর পর লক্ষ্মী ইয়ালাম নামের ওই মহিলাকে ভোপালপট্টনম কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতালে ভর্তির পরদিন তিনি প্রসব বেদনা অনুভব করেন। কিন্তু চিকিত্সকরা জানান, এখনও ডেলিভারির সময় হয়নি। এর পর দিনই ওই মহিলা সন্তান প্রসব করেন। চিকিত্সক ও নার্সের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ভোপালপট্টনমের ব্লক মেডিকেল অফিসার (বিএমও)।