Uttar Pradesh: উইপোকা খেয়ে ফেলল বৃদ্ধার সমস্ত সঞ্চয়! কত টাকা শুনলে চোখ কপালে উঠবে...
UPs Moradabad: টাকা যাতে সুরক্ষিত থাকে আবার প্রয়োজনে ব্যবহারও করা যায়, সেজন্য টাকাটা ব্যাংকের লকারে রেখে এসেছিলেন তিনি। মোট ১৮ লাখ টাকা গচ্ছিত রেখেছিলেন। কিন্তু সেই টাকা খেয়ে ফেলল উইপোকা!
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: উইয়ের কাছে খবরের কাগজও যা, বইয়ের পাতাও তা, আবার টাকার নোটও তাই। তারা অক্লেশে খেয়ে ফেলল রাশি রাশি টাকা। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদের। মোরাদাবাদের এক বৃদ্ধা তাঁর মেয়ের বিয়ের জন্য তিল তিল করে টাকা জমিয়েছিলেন। সেই টাকা নিজের কাছে রাখেননি। টাকা যাতে সুরক্ষিত থাকে আবার প্রয়োজনে ব্যবহারও করা যায়, সেজন্য টাকাটা ব্যাংকের লকারে রেখে এসেছিলেন তিনি। মোট ১৮ লাখ টাকা গচ্ছিত রেখেছিলেন। কিন্তু সেই টাকা খেয়ে ফেলল উইপোকা!
আরও পড়ুন: হাতের কাছেই বিস্ময়! বিশ্ব পর্যটনদিনে জেনে নিন এমনই কিছু অফবিটের সুলুক...
বৃদ্ধার নাম অলকা পাঠক। গত বছর অক্টোবরে তিনি তাঁর সারা জীবনের সঞ্চয় এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে রেখে এসেছিলেন। টাকার সঙ্গে গয়নাও রেখেছিলেন ব্যাংকের লকারে। খুব স্বাভাবিক ভাবেই বৃদ্ধা নিশ্চিন্ত ছিলেন টাকা গয়না নিয়ে। ভেবেও রেখেছিলেন, প্রয়োজন পড়লে সময়মতো ওই টাকা ও গয়না তিনি ব্যাংক থেকে নিয়ে আসবেন। এদিকে ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী কেওয়াইসি আপডেট করানোর জন্য ব্যাংক থেকে ডেকে পাঠানো হয় বৃদ্ধাকে।
চলতি সপ্তাহের সোমবার ব্যাংকে কেওয়াইসি জমা দিতে গিয়েছিলেন অলকা। কেওয়াইসি জমা দেওয়ার পর তাঁর গচ্ছিত সম্পদ ঠিক আছে কি না তা দেখার জন্য লকার খোলেন। কিন্তু এ কী! সেখানে যা দেখলেন তিনি, তা দেখে তাঁর মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার কথা।
বান্ডিল বান্ডিল টাকা উধাও! ব্যাংকের লকারের ভিতর কিলবিল করছে উইপোকা। তাঁর আর বুঝতে বাকি থাকেনি, কী সর্বনাশ তাঁর হয়ে গিয়েছে! সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে জানান তিনি।
অলকা জানিয়েছেন, তাঁর বড় মেয়ের বিয়ের সময় বেশ কিছু টাকা তাঁর হাতে এসেছিল। এছাড়া তিনি ছোট একটা ব্যবসাও চালান। সেখান থেকেও কিছু টাকা তাঁর হাতে আসে। এই পুরো সঞ্চয়টাই তিনি তাঁর ছোট মেয়ের বিয়ের জন্য জমাচ্ছিলেন। মোট ১৮ লাখ টাকা জমিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: Ram Temple: নতুন বছরেই রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা! অযোধ্যায় থাকবেন মোদী, জানা গেল তারিখ...
তারপর সেই টাকা এবং গয়না গত বছরের অক্টোবরে ব্যাংকের লকারে রেখে আসেন। অলকার দাবি, লকারে যে টাকা রাখা যায় না, সেটাই তিনি জানতেন না! ব্যাংক ম্যানেজার জানিয়েছেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছেন তাঁরা।