নতুন সম্পর্ক জেনে ফেলায় প্রেমিককে খুন করে যমুনার জলে ভাসিয়ে দিল প্রেমিকা
জানা যায়, গ্রেটার নয়ডায় চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দেওয়ায় মোহিত মাভি নামে এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে ডলির। পুলিসের দাবি, মোহিতের সঙ্গে এক ছাদের তলায় থাকছিলেন ওই মহিলা। সে কথা জানাতে পারার পরই তাঁর সঙ্গে ব্যাল্কমেল শুরু করেন ২৩ বছর বয়সী সুশীল
নিজস্ব প্রতিবেদন: ত্রিকোণ প্রেম জেরে মাসুল গুনতে হল প্রথম প্রেমিককে। ১৬ অগস্ট সুশীল কুমার নামে ওই প্রেমিকের নিখোঁজে দিল্লি পুলিসের কাছে ডায়েরি করেন তাঁর বাবা। তদন্তে নেমে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর ঘটনা।
ডলি চৌধুরি ছিলেন সুশীলের প্রেমিকা। সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। কিন্তু তাল কাটে যখন সুশীল জানতে পারেন প্রেমিকার অন্য একটি সম্পর্কের কথা। এই সম্পর্ক ডলি নিজের মুখেই স্বীকার করেছে পুলিসের কাছে। ডেপুটি কমিশনার, সেন্ট্রাল মনদীপ সিং রানধাওয়া বলেন, “ওই মহিলার সম্পর্কের কথা জানতে পারার পর তাকে ব্ল্যাকমেল করতে থাকেন সুশীল।” প্রেমিকার ন্যুড ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখায় সুশীল।
আরও পড়ুন- হানিমুনে উটি, আস্ত একটা ট্রেন ভাড়া করে ফেললেন ব্রিটিশ দম্পতি
জানা যায়, গ্রেটার নয়ডায় চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দেওয়ায় মোহিত মাভি নামে এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে ডলির। পুলিসের দাবি, মোহিতের সঙ্গে এক ছাদের তলায় থাকছিলেন ওই মহিলা। সে কথা জানাতে পারার পরই তাঁর সঙ্গে ব্যাল্কমেল শুরু করেন ২৩ বছর বয়সী সুশীল। পুলিসের দাবি অনুযায়ী, তিনি আন্দাজ করেছিলেন ডলি বিয়ে করতে চলেছে মোহিতকে। ১১ অগস্ট মথুরায় দেখা করতে ডলিকে বারবার অনুরোধ জানান সুশীল।
ডলিও চাইছিলেন তাঁদের এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে। কিন্তু কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল সুশীল। তাই তাঁকে সরাতে সাহায্য নেয় আর এক ‘বন্ধু’ মণীশ চৌধুরি। কে এই ‘বন্ধু’? এই ব্যক্তির সঙ্গে ডলির বিয়ে সম্বন্ধ করেছিল তাঁর পরিবার। সুশীলকে হত্যার ছক কষতে মণীশের সাহায্য নেন ডলি। পুলিস জানিয়েছে, মণীশের থেকেই ঘুমের বড়ি জোগাড় করেন তিনি। তার পর ১১ অগস্ট সুশীলের সঙ্গে দেখা করে নানা জায়গা ঘোরেন। একটি হোটেলে রাত কাটানোর জন্য ঘরও বুক করেন তাঁরা। তদন্তে পুলিস জানিয়েছে, পানীয়র সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দিয়ে সুশীলকে বেহুঁশ করে দেওয়া হয়। পরে মণীশকে ফোন করে ডেকে নেন ডলি। দুই জনেই শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেছে বলে দাবি পুলিসের। তার পর দেহ বস্তাবন্দি করে তাঁরা যুমনার জলে ফেলে দেন।
আরও পড়ুন- ৩২ বছর ধরে নরেন্দ্র মোদীকে খুঁজছিলেন ব্যাঙ্ক কর্মীরা!
পুলিস জানিয়েছে, ঘটনার আগেই মোহিত মাভি পলাতক ছিল। কারণ, ডলির সঙ্গে সম্পর্ক জানতে পেরে আত্মহত্যার হুমকি দেন মাভির স্ত্রী। জানা গিয়েছে, পরিবারের চাপে পড়েই মাভি বেঙ্গালুরু চলে যায়। ডলির সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ থাকলেও ঘটনাস্থলে ছিল না বলে পুলিসের প্রাথমিক অনুমান। ডলি এবং মণীশকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।