অসম পুলিসের মহিলা কনস্টেবলকে শারীরিক নিগ্রহে কাঠগড়ায় তৃণমূল বিধায়ক
অসমে নাগরিকপঞ্জি প্রকাশিত হওয়ার পর সোচ্চার হয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: শিলচর বিমানবন্দরে নামার পর তাঁদের প্রতিনিধি দলকে আটকাতে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল। কিন্তু অসম পুলিসের পাল্টা দাবি, তৃণমূল সাংসদদের সঙ্গে হাতাহাতিতেই জখম হয়েছেন দু'জন মহিলা কনস্টেবল ও একজন পুলিস কর্মী। তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে বৃহস্পতিবার দু'টি শর্ত দিয়েছে অসম পুলিস। শিলচরে রাত্রিবাস করতে পারবেন তাঁরা। তবে কোনও বৈঠক বা সভা করা যাবে না। দ্বিতীয় শর্ত, গুয়াহাটিতে গিয়ে রাত্রিবাস করতে পারবেন। তবে তাঁদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রিত থাকবে।
অসমে নাগরিকপঞ্জি প্রকাশিত হওয়ার পর সোচ্চার হয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, জাতি-ধর্মের ভিত্তিতে তালিকা থেকে বেছে বেছে নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। ৪০ লক্ষ মানুষের ঠাঁই কোথায় হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মমতা। তিনি ঘোষণা করেছিলেন, অসমে গিয়ে পরিস্থিতি সরজমিনে দেখে আসবেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। সেই মতো এদিন অসমের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল তৃণমূলের ৮ সদস্য। এরপর বিমান থেকে নামতেই আগাম সতর্কতা হিসেবে শিলচর বিমানবন্দরে তাঁদের আটক করে অসম পুলিস। তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার ২৪ ঘণ্টাকে ফোনে অভিযোগ করেন, মনে হচ্ছে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়েছে। তাঁদের গায়ে হাতও তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূল সাংসদের।
অসম পুলিসের পাল্টা দাবি, তাঁদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেছেন সাংসদরা। হাতাহাতিতে আহত হয়েছেন দু'জন মহিলা কনস্টেবল ও একজন পুলিস কর্মী। মহিলা কনস্টেবলকে নিগ্রহ ও গালিগালাজ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিধায়ক মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধেও। তা দেখা গিয়েছে ভিডিও।
তৃণমূল সাংসদদের আটক করার ঘটনায় কেন্দ্রকে নিশানা করেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা তথা জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ওব্রায়েন। তাঁর কথায়, দেশজুড়ে সুপার এমার্জেন্সি লাগু করেছে মোদী সরকার। তাঁর আরও অভিযোগ, তৃণমূল সাংসদ তথা রাজ্যসবায় দলের মুখ্যসচেতক সুখেন্দুশেখর রায়ের বুকে রয়েছে পেসমেকার। তা সত্ত্বেও তাঁকে বুকে আঘাত করেছে অসম পুলিস। ডেরেকের সুরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ''সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন আমাদের প্রতিনিধিরা। বিজেপির মুখোশ খুলে গিয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে ও সত্য চাপা দিতেই আজ তৃণমূলের প্রতিনিধিদলকে বাধা দেওয়া হয়েছে। বিজেপি সরকারের বলপ্রয়োগের ধরণ দেখে মনে হচ্ছে যেন দেশে সুপার ইমারজেন্সি চলছে।''
আরও পড়ুন- কীভাবে রাজ্যে নাগরিকপঞ্জি চালু করে দেখব, দিলীপকে চ্যালেঞ্জ মমতার