কীভাবে রাজ্যে নাগরিকপঞ্জি চালু করে দেখব, দিলীপকে চ্যালেঞ্জ মমতার
ওরা কারা, কেউ চেনে না। কয়েকটা গুন্ডার দল, বিজেপিকে কটাক্ষ মমতার।
নিজস্ব প্রতিবেদন: অসমের মতো পশ্চিমবঙ্গেও নাগরিকপঞ্জির দাবি করছে বঙ্গ বিজেপি। বৃহস্পতিবার রাজভবনে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে দেখাও করেন দিলীপ ঘোষরা। রাজ্য বিজেপির নাগরিকপঞ্জীর দাবিতে সোচ্চার হওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, ওরা কারা? দেখি কীভাবে ওরা নাগরিকপঞ্জি চালু করে?
বাংলায় নাগরিকপঞ্জির দাবিতে এদিন দেশপ্রিয় পার্ক থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত মিছিল করে রাজ্য বিজেপি। বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, ''বাংলাদেশ থেকে এদেশে এসে বসবাস করছে অনুপ্রবেশকারীরা। তাদের ভোটেই জিতছেন তৃণমূলের সাংসদ-বিধায়করা। বাঙালি ভাবাবেগকে কাজে লাগিয়ে রাজনীতি করছেন মমতা''। পরে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাত্ করে বাংলায় নাগরিকপঞ্জির দাবি করে বিজেপির প্রতিনিধি দল। ২৪ ঘণ্টাকে ফোনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন,''অসমে ওরা অনভিপ্রেত। ওদের ওখানে যেতে কে বলেছে। NRC নিয়ে অসমে কোনও গোলমাল নেই। অথচ পশ্চিমবঙ্গে তোলপাড় চলছে। স্বাভাবিক ভাবেই ১৪৪ ধারা জারি থাকায় ওদের রাজ্যে ঢুকতে দেয়নি প্রশাসন।''
বিজেপির এই উদ্যমকে মমতার কটাক্ষ, ওরা কারা? বাংলার রাজনীতিতে কী গুরুত্ব ওদের? কেউ চেনে না। কয়েকটা গুন্ডার দল। নিজেদের অস্তিত্বই নেই, তারা আবার নাগরিকপঞ্জির দাবি করছে। এরপরই মমতার চ্যালেঞ্জ, দেখি কীভাবে বাংলায় নাগরিকপঞ্জী চালু করে।
Who are they? What significance do they have in West Bengal? Nobody knows them. They are just some hooligans. Their existence itself is in question & they will implement NRC here? I will see how they intervene: Mamata Banerjee on West Bengal BJP leaders demanding NRC in the state pic.twitter.com/S4mpTNmJI7
— ANI (@ANI) August 2, 2018
অসমে তাঁর দলের প্রতিনিধিদের আটকানোর ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, ''বিজেপির শেষের শুরু। ওরা অবসাদে ভুগছে। চাপে পড়ে গিয়েছে বলেই পেশীশক্তির আস্ফালন করছে''।
These atrocities being done, aren't only being condemned, I think this is beginning of the end. They are frustrated, they are political tensed & depressed. And that's why they are showing muscle power: Mamata Banerjee on TMC MP&MLA delegation detained at Silchar airport.#NRCAssam pic.twitter.com/geWCsLxMg8
— ANI (@ANI) August 2, 2018
এদিন বেলা ১.৩০ মিনিট নাগাদ তৃণমূলের প্রতিনিধিরা দিল্লি থেকে বিমানে শিলচর বিমানবন্দরে পৌঁছন। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপির রাজ্যসভার মুখ্য সচেতক সুখেন্দুশেখর রায়। এছাড়া দলে ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ নাদিমুল হক, লোকসভার সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, রত্না দে নাগ, মমতা ঠাকুর ও অর্পিতা ঘোষ। ছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও বিধায়ক মহুয়া মিত্র। অভিযোগ, বিমানবন্দরে পৌঁছতেই তৃণমূলের প্রতিনিধিদের আটকায় পুলিস। তাঁদের শারীরিক হেনস্থা করা হয় বলেও অভিযোগ। ১৪৪ ধারার কারণ দর্শিয়ে তাঁদের বিমানবন্দরের বাইরেও বেরোতে দেওয়া হয়নি।
অসম পুলিসের বক্তব্য, তৃণমূল সাংসদদের আসায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে। দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হতে পারে।
আরও পড়ুন- যাদের নেত্রী গৃহযুদ্ধের কথা বলে, তাদের বিশ্বাস করে ঢুকতে দেবে কে? বললেন দিলীপ