নিজস্ব প্রতিবেদন- গ্যাংস্টার। নাহ্। লেডি গ্যাংস্টার। শুধু তাই নয়। বোরখা পরা গ্যাংস্টার। দ্বন্দ্বে পড়লেন নাকি! তা হলে ভাবুন, যাঁরা বোরখা পরা লেডি গ্যাংস্টার-কে সামনে থেকে দেখছিলেন, তাঁদের অবস্থা কী হয়েছিল! একজন বোরখা পরা মহিলার হাতে আস্ত একটা পিস্তল। সেটা শুধু দেখানোর জন্য নয়। কাউকে ধমকাতে বা চমকাতে আসেননি তিনি। রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে একের পর এক বুলেটে ঝাঁজরা করে দিয়েছেন দোকানের শাটার। সঙ্গে হুমকি, কটুক্তি, গালিগালাজ। আশেপাশে লোক তখন থ। মহিলা মত্ত। টালমাটাল অবস্থায় কোথায় গুলি ছুঁড়ছেন হয়তো নিজেই ঠাওর করতে পারছিলেন না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উত্তর-পূর্ব দিল্লির চৌহান বাঙ্গার এলাকায় এক দোকানদারের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় ২৮ বছর বয়সী নুসরতের। সাধারণ মহিলা হলে কী করতেন! দুচার কথা দোকানিকে শোনাতেন। তার পর নিজের রাস্তা ধরতেন। কিন্তু নুসরত সাধারণ নন। তিনি নিজের পরিচয় দেন, গ্যাংস্টারের বোন। তাই সাধারণ দোকানির দুটো ছোট-বড় কথা হজম করে বাড়ি ফেরার পাত্রী তিনি নন। মোবাইল কেনা নিয়ে সেই দোকানদারের সঙ্গে তাঁর ঝামেলা হয়। এর পরই মত্ত অবস্থায় সেই দোকানদারকে লক্ষ্য করে পিস্তল থেকে গুলি ছোঁড়েন তিনি। দোকানির কপাল ভাল, গুলি লাগেনি।


নুসরত খুল্লমখুল্লা গুলি ছুঁড়েছেন। এলাকার লোক, বাচ্চা-কাচ্চা সবাই তখন ভয়ে কাঁপছে। নুসরতের সেসবে ভ্রুক্ষেপ নেই। এমনকী তাঁর এমন কাণ্ডের যে ভিডিয়ে উঠেছে সেটাও তিনি জানতেন না। সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, দোকান লক্ষ্য করে পিস্তল থেকে একের পর এক গুলি ছুঁড়ছেন নুসরত। একজন লোক তাঁকে টেনে সরাতে গিয়েও ব্যর্থ হন। এর পর গালিগালাজ করতে করতেই এক যুবকের বাইকে চেপে এলাকা ছাড়েন নুসরত। পুলিস জাফরাবাদ থানায় এফআইআর করেছে। নুসরতকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিস।