নিজস্ব প্রতিবেদন : বুধবার রাতেই তিনি সিডনি থেকে দেশে ফিরেছিলেন। নয়াদিল্লির ইন্দিরা গান্ধী বিমানবন্দরে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়। সেই সময় তিনি মাথা ব্যথার সমস্যার কথা জানান। এর পরই রাত নটা নাগাদ তনভির সিং নামের বছর ৩৫-এর সেই যুবককে সফরদরজং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আইলোশেন ওয়ার্ডে রাখা হয় তাঁকে। তনভিরের রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। তিনি করোনায় আক্রান্ত কি না সেটা জানার জন্যই তড়িঘড়ি রক্তের নমুনা পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করা হয়। আর তাতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সেই যুবক। পরীক্ষার রিপোর্ট আসার আগেই আত্মহত্য়া করেন সেই যুবক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হাসপাতালের আট তলার ব্যালকনি থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন সেই যুবক। করোনা সন্দেহে চিকিত্সাধীন অবস্থায় আতঙ্কিত বোধ করছিলেন সেই যুবক। তাই রিপোর্ট পাওয়ার আগেই এমন পদক্ষেপ নেন তিনি! পুলিসের তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে। দিল্লি পুলিসের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার দেবেন্দর আর্য জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলেই তানভিরের মৃত্যু হয়েছে। গোটা দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে প্রতিদিন। গতকালই ১৪ জন আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছিল।


আরও পড়ুন-  ''ঘোর কলিযুগ'', করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে মত সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির


উদ্বেজনক পরিস্থিতি সামাল দিতে সতর্ক প্রশাসন। দিল্লিতে আপাতত চারজনের বেশি লোকের জমায়েত নিষিদ্ধ। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই নির্দেশিকা জারি থাকবে বলে জানিয়েছে  দিল্লির প্রশাসন। এরই মধ্যে ওই যুবকের আত্মহত্যার ঘটনা প্রশাসনের উদ্বেগ বাড়িয়ে দিল। সিডনি থেকে ভারতে আসার পর তনভির সিংয়ের শরীরে মাথা ব্যথা ছাড়া আর তেমন কোনও উপসর্গ ছিল না বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু নেহাতই আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে সেই যুবক এত বড় ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছেন বলে জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে।