প্রবীর চক্রবর্তী: 'যত আটকানোর চেষ্টা করবে, ততই কিন্তু এই লড়াই তীব্রতর হবে'। কেন্দ্রীয় সরকারকে ফের হুঁশিয়ারি দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, '২০২১ সালের পর থেকে এখনও পর্যন্ত ২০০টা কেন্দ্রীয় দল, বাংলা দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে। কী পেয়েছে'?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন:  Abhishek Banerjee: 'হারায়ে খুঁজি'! দিল্লি-কলকাতা জুড়ে দিনভর কেউ হারালেন পথ, কেউ হারালেন ফোন, কেউ টাকা...


বকেয়া আদায়ের লক্ষ্যে এবার 'মিশন দিল্লি'। আজ, সোমবার সাড়ে ৩টে পর্যন্ত রাজঘাটে 'সত্যাগ্রহ' করার পরিকল্পনা ছিল তৃণমূলের। কর্মসূচির মাঝেই তখন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন অভিষেক। রীতিমতো মাইকিং করে এলাকা খালি করে দিতে বলে পুলিস। তারপর? রাজঘাট থেকে বেরিয়ে আসেন বাংলার শাসকদলের নেতারা।


এবার কোন পথে আন্দোলন? সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে বৈঠকে বসেন অভিষেক। বৈঠক শেষে তিনি বলেন, 'শান্তির পীঠস্থান রাজঘাটে, শান্তির প্রতীক যেটা, সেই জায়গাতেও ইচ্ছাকৃতভাবে, পরিকল্পিতভাবে, অশান্তি করার পরিকল্পনা করেছিল। প্রথম থেকে যখন বসেছিলাম সেখানে, সারাক্ষণ ৫ মিনিট অন্তর এসে উঠে হবে, উঠতে হবে! কারও নামে জয়ধ্বনি দেওয়া তো দূরের কথা, একটি রাজনৈতিক স্লোগান পর্যন্ত দিইনি। মহিলাদের উপর লাঠিচার্জ করা সেগুলি সব ক্য়ামেরায় বন্দি হয়েছে। ছবি তো মিথ্যা কথা বলে না'।


অভিষেকের দাবি, 'প্রথমদিকে আমাদের কিছু সমর্থক, শুভানুধ্যায়ীরা এসে পৌঁছেছিলেন, পরবর্তীকালে আমরা অনুরোধ করি, তারা চলে যায়। এমনকী, সাংবাদিকদেরও জোর-জবরদস্তি বের করে দেওয়া হয়। বাঁশি বাজিয়ে বাজিয়ে এমন দুর্ব্যবহার, মানুষকে মানুষ বলে মনে করে না। তাও এত চেষ্টা করেও আমাদের আন্দোলন, লড়াই, এ সংগ্রামকে আটকাতে পারেনি'।  সঙ্গে হুঁশিয়ারি, 'বিজেপি বা কেন্দ্রের সরকার যত আটকানোর চেষ্টা করবে, ততই কিন্তু এই লড়াই তীব্রতর হবে। হাজার চেষ্টা করুক, এটা তো মানুষের দাবি, এটা তো তৃণমূলের দাবি নয়, কোনও রাজনৈতিক দলের দাবি নয়'।


এদিকে দিল্লির রাজঘাটে তখন তৃণমূলের সত্যাগ্রহ চলছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দিকে আঙুল তোলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ।  স্রেফ গত ১০ বছরে বরাদ্দ বৃদ্ধি নয়, কেন্দ্রীয় সরকারের নাম বদলের মানুষের ঠকানোর অভিযোগ তোলেন তিনি। সঙ্গে সিবিআই তদন্তের দাবিও।


অভিষেক বলেন, 'এই যে মানুষের টাকা আটকে রেখেছে, আজ হঠাৎ করে গিরিরাজ সিং, বেগুসরাই, তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্র থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেছেন, তিনি সিবিআই দাবি করছেন। আপনি যে তদন্ত চান, করুন, আমাদের কিছু যায় আসে না। আমরা এখানে এসেছি, মানুষের প্রাপ্য টাকা দিল্লি থেকে আদায় করতে। সিবিআইয়ের গ্রহণ যোগ্যতা কী, অনেক প্রশ্ন আছে। বিগত ২ বছর ২৬ কেস সিবিআইকে দেওয়া হয়েছে।  একটারও সুরাহা হয়নি। সিবিআইয়ে দিয়ে যদি বাংলার মানুষ টাকা পায়, সিবিআই তদন্তকে আমি স্বাগত জানাই'।


আরও পড়ুন:  শুধু গান্ধী নন, ২ অক্টোবর এই মহাপুরুষেরও জন্মদিন! এই বাঙালি মনীষীকে দেশ কি একেবারেই ভুলেছে?



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)